Execution of Shabnam: যৌবনের উদ্দাম প্রেম থেকে ফাঁসির সাজা! স্বাধীন ভারতে প্রথম মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি

Last Updated:

১৪ ই এপ্রিল, ২০০৮ সালের রাতে প্রেমিক সেলিমের সঙ্গে পরিবারের সবাইকে কুপিয়ে খুন করে সে৷

#মথুরা: স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম কোনও মহিলাকে ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আমরোহার (Amroha) শবনমই (Shabnam) হল সেই মহিলা যার ফাঁসি হবে ৷ দেশে মহিলাদের ফাঁসির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরায়। সেখানে ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে। নির্ভয়া মামলায় দোষীদের ফাঁসি দিয়েছিলেন মিরাটের পবন জল্লাদ৷ তিনি ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মথুরার ফাঁসির জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন৷ তবে, ফাঁসির দিনটি এখনও নির্ধারিত হয়নি।
২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলে আমরোহার বাসিন্দা শবনম তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে কুঠুরি দিয়ে পরিবারের সাত সদস্যকে নির্মমভাবে খুন করে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট শবনমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। প্রাণভিক্ষার আর্জি প্রত্যাখ্যান করেন রাষ্ট্রপতিও৷ । সুতরাং স্বাধীনতার পরে শবনম হল প্রথম মহিলা বন্দি যাকে ফাঁসি দেওয়া হতে চলেছে।
উল্লেখযোগ্য, মথুরা জেলে দেড়শ বছর আগে মহিলাদের ফাঁসির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হলেও, তাতে কোনও দিন ফাঁসি হয়নি৷ জেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমার বলেছেন যে, এখনও ফাঁসির তারিখ নির্ধারিত হয়নি, তবে আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শবনমকে ফাঁসি দেওয়া হবে।
advertisement
advertisement
কারাগারের সুপারিডেন্টের মতে, পবন জল্লাদ সবটা পরিদর্শন করেছেন। বিহারের বাক্সার থেকে ফাঁসির জন্য দড়ি আনা হচ্ছে। শেষ মুহুর্তে যদি কোনও পরিবর্তন না হয়, তাহলে স্বাধীন ভারতে শবনমই প্রথম মহিলা যার ফাঁসি হবে৷
advertisement
উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার হাসানপুর এলাকার বাওয়ানখেদি গ্রামে বসবাসরত শিক্ষক শওকত আলির একমাত্র মেয়ে হল শবনম৷ ১৪ ই এপ্রিল, ২০০৮ সালের রাতে প্রেমিক সেলিমের সঙ্গে পরিবারের সবাইকে কুপিয়ে খুন করে সে৷
শওকত আলির পরিবারে ছিলেন স্ত্রী হাশমি, ছেলে আনিস, রশিদ, পুত্রবধূ আঞ্জুম, মেয়ে শবনম এবং দশ মাসের নাতি আরশ৷ মেয়ে শবনমকে তিনি খুবই আদরের সঙ্গে বড় করেন৷ স্নাতোকত্তরের পর শবমন শিক্ষিকা হিসেবে কাজ শুরু করে৷ তবে তার প্রেম যেন জীবনে ঝড় নিয়ে আসে৷ গ্রামেরই ছেলে সলিমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে সে৷ কিন্তু তাদের এই প্রেম মানতে চায়নি পরিবার৷ মেয়েও ছিল নাছরবান্দা৷ তাই সেলিমের সঙ্গে পরামর্শ করে রাতে বাড়ির সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যেত শবনম৷ এমনটা চলে দীর্ঘদিন৷ শেষে একদিন বাড়িতে আসে শবনমের দিদি৷ সেদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর, শবনম ও সলিম সিদ্ধান্ত নেয় সকলে খুন করার৷ সেই মতো নিজের পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে খুন করে শবনম৷ সকাল হতে গ্রামে রটিয়ে দেয় যে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে৷ তবে ধীরে ধীরে তার ওপর সন্দেহ যায় এবং তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ গ্রেফতার করা হয় সেলিমকেও৷ জেরায় ঘটনা স্বীকার করে দু’জনে৷ সুপ্রিম কোর্টেও ফাঁসির সাজা বহাল রাখে শবনমের৷ প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি৷ ফলে পরিবারের সবাইকে খুন করে ফাঁসিতেই ঝুলতে চলেছে শবনম৷
বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
Execution of Shabnam: যৌবনের উদ্দাম প্রেম থেকে ফাঁসির সাজা! স্বাধীন ভারতে প্রথম মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement