Cyber Crime: সাবধান! চার্জিং স্টেশনে ফোন চার্জ দিলেই বিরাট বিপদ! ফাঁস হয়ে যেতে পারে গোপন তথ্য

Last Updated:

Cyber Crime: সাইবার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সমস্ত অ্যাপ এর মাধ্যমে মোবাইলে থাকা গোপন এবং ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হ্যাকাররা নিজেদের আওতায় খুবই সহজে এনে ফেলছে।

শহর অথবা উন্নত মানের বাস টার্মিনাস কিংবা বিমানবন্দর থেকে শুরু করে রেল স্টেশন, সর্বত্রই মোবাইল চার্জ দেওয়ার পরিষেবা ইতিমধ্যেই উপলব্ধ করা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত যাত্রীরা কার্যত মোবাইলের চার্জ দেওয়ার জন্য এই সমস্ত চার্জিং পয়েন্ট ব্যবহার করে থাকেন। আর এই সমস্ত চার্জিং পয়েন্টে চার্জ করলে কার্যত নেমে আসতে পারে বিপদ। মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ হলেও হ্যাকারদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে সেই সব মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এমনটাই গোয়েন্দা এবং সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতামত। এই সমস্ত চার্জিং পয়েন্টে কার্যত সাইবার অপরাধীসহ হ্যাকাররা নিজেদের জাল পেতে রাখে।
পুলিশ এবং সাইবার বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইবার অপরাধীরা এই সমস্ত পাবলিক চার্জিং পয়েন্টে ইউএসবির মধ্যে মাইক্রোচিপ বসিয়ে রাখছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অথবা রাতের অন্ধকারে এই সমস্ত মাইক্রোচিপ বসানোর কাজ সাইবার অপরাধীরা করে থাকছে। কোনও যাত্রী যখন মোবাইলে চার্জ বসাচ্ছেন, সেই সময় তার মোবাইলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই মাইক্রোচিপের মাধ্যমে সিঙ্ক্রোনাইজড হয়ে প্রতারকদের হাতে চলে যাচ্ছে। মোবাইলের মধ্যে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় বিপদজনক অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে যাচ্ছে, এই সমস্ত অ্যাপ দূরে বসে নিজেদের কন্ট্রোলে ডাউনলোড করছে প্রতারকরা।
advertisement
সাইবার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সমস্ত অ্যাপ এর মাধ্যমে মোবাইলে থাকা গোপন এবং ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হ্যাকাররা নিজেদের আওতায় খুবই সহজে এনে ফেলছে। আর সময় মতো তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থেকে টাকা সাফ করে ফেলছে। ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন সাইবার থানায় জমা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সমস্ত প্রতারণার মধ্যে যেন কোনও যাত্রী পা না দেয়, সেই কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশ-সহ সাইবার থানার তরফ থেকেও প্রচার চালানো হচ্ছে।
advertisement
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, সাইবার হ্যাকাররা আম জনতা সেজে সাহায্যের জন্য নিজের চার্জার বাড়িয়ে দেয় আর সেই চার্জার দিয়ে মোবাইল চার্জ করলেই  যত বিপদ, মনে করছেন পুলিশ এবং সাইবার বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন সূত্র মারফত চিহ্নিতকরণ করার পর একাধিক হ্যাকারদের গ্রেফতার ও করেছে রাজ্যের বিভিন্ন সাইবার থানার পুলিশ।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, এক সময় এই সমস্ত প্রতারণার পিছনে থাকত জামতারা গ্যাং। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যের একাধিক ছোট ছোট গ্যাং-সহ একাধিক অবৈধ অফিস খুলে কার্যত এই সমস্ত প্রতারণার কাজ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ এবং গোয়েন্দারা মনে করছেন, সাইবার প্রতারকদের একাধিক কৌশল তারা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে সাইবার অপরাধীরা।
advertisement
রাজ্য পুলিশের উচ্চপর্যায়ের এক সাইবার বিশেষজ্ঞ জানান, এখন মানুষ সতর্ক হওয়ায় কেউ আর নিজেদের ওটিপি শেয়ার করতে চাইছেন না। সেই কারণেই নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে এই সাইবার প্রতারক গ্যাংরা। ইতিমধ্যেই একাধিক গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক অবৈধ অফিসেও হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে ল্যাপটপ, সিম বক্স-সহ অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। আগামী দিনেও বিপুল পরিমাণে এই বিষয়ে  প্রচার করা হবে পুলিশের তরফ থেকে। পাশাপাশি সাইবার পুলিশের তরফ থেকে পড়া নজরদারিও চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
Cyber Crime: সাবধান! চার্জিং স্টেশনে ফোন চার্জ দিলেই বিরাট বিপদ! ফাঁস হয়ে যেতে পারে গোপন তথ্য
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement