কয়েক মাস পর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে ‘ছাই’ আর ‘লালমাটি’-র বিশেষ চাহিদা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কিছুদিন আগেই বেঙ্গল এসটিএফ বিপুল পরিমাণে ছাই আর লালমাটি উদ্ধার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে।
সৌরভ তিওয়ারি, কলকাতা: রাজ্যে আর কয়েক মাস পর হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই ব্যাপক চাহিদা ছাই আর লালমাটির। ব্যাপক চাহিদার জেরে ছাই আর লালমাটির দাম ও প্রায় অনেকটাই বেড়েছে। এরাজ্যে বিহার থেকে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম হয়ে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে এই ছাই আর লাল মাটি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কিছুদিন আগেই বেঙ্গল এসটিএফ বিপুল পরিমাণে ছাই আর লালমাটি উদ্ধার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে।
কী এই ছাই আর লাল মাটি?
advertisement
ছাই আর লালমাটি হল বিশেষ রকমের বারুদ। এই দুই সামগ্রী দিয়ে শক্তিশালী বোমা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে একটি বারুদের রং দেখতে একেবারে লাল মাটির মত, আর অন্যটির রং একেবারে সাদা। সেই কারণে বারুদ কারবারীরা এই দুই বারুদের ছদ্মনাম দিয়েছে।
advertisement
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই দুই বারুদ বিপুল পরিমাণের স্টক করে রাখা হচ্ছে। আরও বেশি পরিমাণে নিয়ে আসার জন্য একাধিক অর্ডার ইতিমধ্যেই কারবারিরা ডিলারেরকে দিয়েছে। গোপন সূত্রে এমন খবর পাওয়ার পরই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কড়া নজরদারি বাড়িয়েছে জেলা পুলিশ এবং গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই এই কোড ওয়ার্ড ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা। বিহারের মুঙ্গের মোজাফফরনগর বিশেষভাবে এই দুই ধরনের বারুদ তৈরি করা হচ্ছে। মিডলম্যান ক্যুরিয়ররা মালদহ, মুর্শিদাবাদ হয়ে এরা রাজ্যে সেই বারুদ নিয়ে আসছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রথমে বিহার থেকে তারা মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় ট্রেনে করে আসছে পরবর্তী ক্ষেত্রে ফারাক্কা থেকে বিভিন্ন ছোট ছোট দুষ্কৃতিদের হাতে এই দুই বারুদ তুলে দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
সাধারণ বারুদের থেকে এই দুই বিশেষ বারুদ অর্থাৎ ছাই এবং লাল মাটির ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিপুল পরিমাণে চাহিদা বেড়েছে এই দুই বারুদের। সাধারণ বারুদ যেখানে তিন থেকে চার হাজার টাকা কেজি বিক্রি হয়, ছাই এবং লাল মাটির দাম কেজি পিছু প্রায় সাড়ে সাত থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেজি পিছু এই বিশেষ বারুদ থেকে প্রায় নয় থেকে দশটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা তৈরি করে দুষ্কৃতীরা। তবে গোয়েন্দা এবং পুলিশের যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে একাধিক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে তাদের জেরা পর্বে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই মর্মে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলায় করা নজরদারি চালানোর নির্দেশ ও ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
advertisement
Sourav Tiwari
view commentsLocation :
First Published :
November 01, 2022 3:52 PM IST