# কলকাতা : আনন্দপুর শ্যুট আউটের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুই | ধৃতদের নাম আসাদুল ইসলাম ও স্বপন মণ্ডল | এর আগে ফিরোজ ঘনিষ্ঠ সাজিদ ও নাদিমকে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল | ধৃতের সংখ্যা চার |
গুলশান কলোনি গুলি কাণ্ডের পর এলাকা থমথমে | আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ | তবে এই ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে প্রোমোটিং চক্র | প্রশ্ন উঠছে এই ফিরোজ ও জুলকার দুই গোষ্ঠীর প্রোমোটিং চক্র পিছনে কোন প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে? নাহলে গুলশান কলোনিতে যেভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো বেআইনি ফ্ল্যাট গজিয়ে উঠেছে, তার পিছনে কোন রাঘব বোয়াল রয়েছে!
পুলিশ সূত্রের খবর, ফিরোজ ও জুলকারের বাড়িতে শনিবার পুলিশ তল্লাশি করে | গুলশান কলোনি থেকে অসাদুল ও স্বপনকে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানার আধিকারিকরা | এই দুই অভিযুক্ত জুলকারের ঘনিষ্ঠ | অভিযোগ, ঘটনায় গণ্ডগোল পাকানো, হত্যার চেষ্টা, ইট -পাথর বোতল ছোঁড়ার অভিযোগ ধৃতদের বিরুদ্ধে | অন্যদিকে গুলি চালানোর ঘটনায় ফিরোজ ঘনিষ্ঠ, সাজিদ ও নাদিমকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত |
তবে অলিগলিতে যেভাবে বেআইনি ফ্ল্যাট ওই চত্বরে গড়ে উঠেছে তাতে প্রোমোটিং চক্রর শিকড় যে বহুদূর বিস্তৃত তা বলাই বাহুল্য |পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে প্রোমোটিং চক্র| নাম উঠে এসেছে জুলকার ও ফিরোজের দুই দলের | এই দুই গোষ্ঠীর প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদ | পুলিশ সূত্রের খবর, আনন্দপুর এলাকায় B- 23 গুলশান কলোনীতে পাঁচ তলা বিল্ডিংকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত | পুলিশ সূত্রের খবর, এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়াতে এসে জুলকার ওই এলাকায় প্রোমোটিং জাল বিস্তার করে| জুলকার একটা ফ্ল্যাটকে পাঁচ জন বা একাধিক জন ক্রেতার কাছে দেখিয়ে বিপুল টাকা নিয়ে প্রতারণা করে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল | শুক্রবার সন্ধেতে জুলকার ২০ - ৩০ জনকে নিয়ে আসে ওই B- 23 গুলশান কলোনীতে ফ্ল্যাট দখল করতে | অভিযোগ , তাদের মধ্যে একঝাঁক মহিলাও ছিল| কারণ , জুলকার এভাবে মহিলাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নাম করে ফাঁকা ফ্ল্যাট হাতাবার ছক কষেছিলো, দাবি পুলিশের | কিন্তু সাজিদ ফিরোজকে খবর দিয়ে দেওয়াতে সেই প্ল্যান পন্ড হয় | এরপরই দুপক্ষের মধ্যে বচসা মারধর , ইট পাথর ছোড়া শুরু হয় | ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঘটনাস্থল P/ 13 গুলশান কলোনী সেখানে চলে গুলির লড়াই | তাতেই আহত হন ভজন ভক্ত ও শওকত আলী | চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মোবাইল ক্যামেরাবন্দী ছবিতে দেখা যায় ছাদের উপর থেকে চলছে গুলি | সেই ছবি দেখে শনাক্ত করে পুলিশ আততায়ীদের | কসবা থেকে গুলি চালানোর ঘটনায় ঘটনার রাতেই গ্রেপ্তার হয় সাজিদ ও নাদিম আশরাফ | তবে পুলিশ সূত্রের খবর, এর আগেও ২০১৯ এর শুরু দিকে ওই এলাকায় জুলকার ও ফিরোজের ঝামেলা হয়েছিল |
তবে গুলি চালানো ঘটনায় দুজন মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা গেলেও, নেপথ্যে যাদের হাত রয়েছে তাদের খোঁজ করছে পুলিশ | মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে | শনিবার আরো দুজনকে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানা | এই ঘটনায় আর কারা জড়িত তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ | ARPITA HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।