#গাজিয়াবাদ: গুগল বাবাজী থাকতে দুনিয়া হাতের মুঠোয়! এক ক্লিকেই চটজলদি অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জ্ঞান মিলছে। আর একটা বড় ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। নিত্যনতুন পদ রান্না থেকে বাচ্চাদের স্কুলের ক্র্যাফট, কোনও অনলাইন কোর্স, সিনেমা, গান কী নেই ইউটিউবে!
একাধারে যেমন হাতের মুঠোয় এনে দিচ্ছে দুনিয়াকে, তেমনই অনেক ভিডিও থাকে ইউটিউবে, যা মোটেই সুবিধেজনক নয়। এমনই একটি মর্মস্পর্শী ঘটনায় তাজ্জব গাজিয়াবাদের পুলিশ। এগারো বছর বয়সী এক কিশোর ইউটিউব দেখে শিখেছিল হ্যাকিং। তার সুযোগ নিয়ে সে বাবার কাছ থেকে এক কোটি টাকা চায়। এমনকী হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল, এই টাকা না পেলে বাবার অশ্লীল ছবি এবং তাদের পরিবারের গোপনীয় তথ্য অনলাইনে প্রচার করা হবে। তার এই আচরণে কেবল পুলিশই নয়, তার বাবা-মাও হতবাক হয়েছেন।
একটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, কিশোরের বাবা হুমকির পাওয়ার ঘটনা গাজিয়াবাদের পুলিশকে জানায়। তিনি বলেছিলেন, তাঁর ইমেল হ্যাক করা হয়েছে এবং একদল ব্যাক্তি তাঁর কাছে ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। এই টাকা যদি তিনি না দিতে পারেন, তাহলে তাঁর ব্যাক্তিগত তথ্য এবং অশ্লীল ছবি নেটদুনিয়ায় প্রচার করে দেওয়া হবে। ১ জানুয়ারী সাইবার অপরাধী তার ইমেল আইডি হ্যাক করেছে। তাঁর ইমেল আইডির পাসওয়ার্ড এবং মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করেছে। তারপরে তিনি একটি মেইল পেয়েছিলেন এবং মোটা অঙ্কের অর্থ তাঁকে দিতে বলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, হ্যাকাররা তার পরিবারকে অবিচ্ছিন্নভাবে হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশ যখন তদন্ত শুরু করেছিল, তখন এমন কিছু ঘটনা নজরে আসে, যেখানে দেখা যায় যে আইপি ঠিকানাটি অভিযোগকারীর বাড়ির। পুলিশ স্পষ্ট করে জানায় যে হুমকি ইমেলটি তার পরিবার থেকে কেউ পাঠিয়েছে। গুরুতর সূত্র হাতে পাওয়ার পরে, পুলিশ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, সেই সময় অভিযোগকারীর ১১ বছরের ছেলে অপরাধ স্বীকার করে নেয়।পঞ্চম শ্রেনির ছাত্র ওই কিশোর পুলিশকে বলেছিল যে, তিনি ইউটিউবের মাধ্যমে কীভাবে সাইবার ক্রাইম করতে হয়, তা শিখেছে। দক্ষতা অর্জন করার জন্য সে প্রচুর ভিডিও দেখে এবং তাঁর বাবাকে সে ওই ইমেলটি পাঠিয়েছিল।
এই ঘটনায় ওই নাবালক কিশোরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা, কোনও মহিলাকে অবমাননা করা এবং শান্তি লঙ্ঘন করার জন্য ইচ্ছাকৃত অপমানের আওতায় ফেলা হয়েছে। পুলিশ এই বিষয়টির দেখভাল করছে এবং আগামী দিনে কীভাবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।