#মাইসোর: করোনা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। লক ডাউনের ফলে বহু মানুষের আয় সংকট তৈরি হয়েছে। অনেকেই দু’বেলা খেতে পাবেন কি না, তার ঠিক নেই। এর মধ্যেই কেউ কেউ সুযোগ বুঝে নিজের লাভের অঙ্ক বাড়াতে চেষ্টা করছেন আর কেউ লাভের তোয়াক্কা না করে কী করে মানুষের পাশে থাকা যায়, সেই চেষ্টা করছেন। তেমনই এক উদাহরণ মাইসোরের বাসু আর মলি।পেশায় দর্জি বাসু শেষ ১০ বছর ধরে মাইসোরের বিভিন্ন হোটেল ও দোকানের জামাকাপড় ও অন্যান্য জিনিস সেলাই করে থাকেন। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্ধ হয়েছে আয়। কী করা যাবে, তাই নিজেই বুদ্ধি করে বের করেছেন পথ। এই দম্পতি কাপড় কেটে, সেলাই করে মাস্ক বানাচ্ছেন। আর মাত্র ২০ টাকায় তা বিক্রি করছেন। গরিব মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন করোনা থেকে বাঁচার এক অস্ত্র।
লকডাউনের পর থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাস্ক বিক্রি করেছেন এঁরা। কিন্তু তাও, বিপুল টাকা উপার্জনের বা লাভ করার ইচ্ছা তাঁদের নেই। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের কাছে একজন এসেছিলেন, তিনি একবারে ৫০ হাজার মাস্ক অর্ডার দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সেই অর্ডার গ্রহণ করিনি। আমরা ওরকম করে বড় ব্যবসা করতে চাই না। আমরা চাই সাধারণ মানুষের কাছে মাস্ক পৌঁছে দিতে যাতে তাঁদের সুবিধা হয়। অত টাকার আমাদের কোনও দরকার নেই।
ছাপোষা জীবনের এমন আদর্শ, এমন মূল্যবোধই বোধহয় শেষ পর্যন্ত মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই ছোট্ট বাড়িতে দক্ষিণের এই দম্পতি দুর্দিনেও এক উদাহরণ। ঘরের মধ্যে হাজার কাপড় ছড়িয়ে একমনে বসে সেলাই মেশিনে মাস্ক সেলাই করছেন স্বামী আর স্ত্রী বিক্রি করছেন সামান্য অর্থে। বাঁচার স্বপ্ন এভাবেই একটু একটু করে দেখতে শুরু করছে দেশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।