Unlock 1.0: বাসের পিছনে ঝুলেই অফিস! গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না বাস, বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা

Last Updated:

বাসের লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা বা বাসে ওঠার প্রতিযোগিতা, ক্রমশই চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের ৷

#কলকাতা: সাবধান তো দূরের কথা,উল্টো চলছে প্রতিযোগিতা করে বাসে ওঠা। এটাই ছিল সোমবার শহর কলকাতার বাস ধরার ছবি। শহর কলকাতা বললে ভুল হবে শহরতলীর একাধিক জায়গায় তো দৌড়ে দৌড়ে কে আগে বাসে উঠতে পারে তারই প্রতিযোগিতা করছেন অফিস যাত্রীরা। তবে শুধু বাস ধরার প্রতিযোগিতা নয় বাসে উঠতে না পেরে বাসের পিছনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই বাসের পিছনে বসেই যাচ্ছেন অফিস যাত্রী। সোমবার এমনও ছবি ধরা পড়ল উত্তর কলকাতার বি টি রোডে।
সোমবার থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। ট্রেন ও মেট্রো না চালাতে একমাত্র গণপরিবহনের ভরসা বাস। পরিবহন দফতর থেকে শুরু করে বাস মালিক সংগঠনগুলি অতিরিক্ত বাস নামানোর কথা বলা হলেও সোমবারে কার্যত গা ঘেষাঘেষি করেই এক ঘন্টা করে লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে উঠতে পারছেন যাত্রীরা। সোমবার সকাল আটটা থেকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত এমনই ছবি ধরা পড়েছে খোদ ডানলপে। করোনাভাইরাস কে আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অন্যতম হাতিয়ার বলছেন চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানীরা। কিন্তু গা ঘেষাঘেষি করে বাসের লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা বা বাসে ওঠার প্রতিযোগিতা, ক্রমশই চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের ৷ আশঙ্কা অমূলক নয়, অন্তত চিকিৎসকরা এমনই মনে করছেন।
advertisement
লকডাউনের আনলক ওয়ানের প্রথম পর্বেই সরকারি বাস দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু অভিযোগ ছিল বেসরকারি বাস কোথায়? বেসরকারি বাস আবার চলতে শুরু করতে না করতেই ভাড়া বাড়িয়ে দিল দ্বিগুণ, কোন কোন রুটে আবার তিনগুণ পর্যন্ত। তবে সরকারের তরফে কোনও ভাড়া বাড়ানো নয়, রুট গুলিতে কখনও ইউনিয়নের তরফের আবার কখনো মালিকদের তরফেই বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে অন্তত গত সপ্তাহ ব্যাপী এমনটাই অভিযোগ এসেছে যাত্রীদের কাছ থেকে। অভিযোগের নিরিখে বাস মালিক সংগঠনগুলি ভাড়া বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যক্ষেত্রে তার কোনো কার্যকারিতা দেখা যায়নি অন্তত গত সপ্তাহ জুড়ে।তার মধ্যেই  আনলক ওয়ানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হল সোমবার থেকে। সোমবার থেকেই রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে অফিস খুলে দেওয়া হলেও অফিস পর্যন্ত পৌঁছাবেন কী করে তা নিয়ে সোমবার দিনভর ব্যস্ততা ছিল অফিস যাত্রীদের মধ্যে। কারণটা অবশ্যই বেসরকারি ও সরকারি বাস।
advertisement
advertisement
সোমবার সকালে শ্যামবাজার, ডানলপ, সিঁথির মোড় জুড়েই দেখা গেলো অফিস যাত্রীদের ভিড় বাস ধরার জন্য। বিটি রোড সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সরকারি বাস পরিষেবা থাকলেও সাধারণত বাসিন্দাদের কলকাতা পৌছানোর অন্যতম উপায় মেট্রো ও লোকাল ট্রেন। কিন্তু এখনও এই দুই পরিষেবা শুরু হয়নি। তাই অগত্যা বাসের ওপর নির্ভর থাকলেও তাতেও নাজেহাল অফিস যাত্রীরা। বেশিরভাগ বাসেই ডিপো থেকে সব আসন যাত্রীভর্তি থাকায় গুরুত্বপূর্ণ মোড় থেকেই অফিস যাত্রীরা বাসে উঠতে পারছেন না।
advertisement
এদিন সকালে দেখা গেল ডানলপ ৯ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরার লাইন এক কিলোমিটারেরও বেশি। কেউ আগরপাড়া থেকে এসেছেন আবার কেউ ডানলপের বাসিন্দা, অফিস যাওয়ার জন্য এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সরকারি বাস ধরার জন্য। সামাজিক দূরত্ব বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গা ঘেষাঘেষি করে এই লাইনে দাঁড়িয়ে এই ভাবেই দিনভর চলল এক ঘন্টা দেড় ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করা বাসের জন্য। করোনাভাইরাসকে আটকাতে যেখানে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার কথার ওপর বারবার গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা সেখানে এই ধরনের ছবি আদপে বাড়াচ্ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। গত কয়েকদিন ধরেই এরাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। আর তারই মধ্যে এ ধরনের ছবি অবশ্যই আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
Somraj Bandopadhyay
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Unlock 1.0: বাসের পিছনে ঝুলেই অফিস! গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না বাস, বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement