হোম /খবর /বিদেশ /
করোনা শনাক্ত করতে মৌমাছিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ !

করোনা শনাক্ত করতে মৌমাছিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ !

নেদারল্যান্ডসে করোনা সামলাতে মৌমাছিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ

নেদারল্যান্ডসে করোনা সামলাতে মৌমাছিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ

গবেষকরা ১৫০ মৌমাছিকে এর জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। মৌমাছিদের ঘ্রাণশক্তি প্রবল। এটাকেই কাজে লাগিয়েছেন তাঁরা

  • Last Updated :
  • Share this:

#আমস্টারডাম: বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারকে প্রশিক্ষিত করে মানবজাতির অনেক কঠিন কাজ সহজে করিয়ে নেওয়ার ইতিহাস নতুন নয়। মরুভূমিতে যেমন উট মানুষের কাজ সহজ করেছে, বিশাল কাঠের গুঁড়ি তুলে হাতি যেমন পরিশ্রম কমিয়েছে, তেমনই চোর ধরতে কুকুর মানুষকে যেভাবে সাহায্য করেছে, তাতে সামাজিক জীবনে প্রশিক্ষিত জন্তুদের প্রভাব মানুষকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে যখন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে ডাক্তাররা মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন, তখন যুগান্তকারী এক আবিষ্কার করার পথে নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থা।

কোভিড ১৯-এর পরীক্ষার নতুন এক উপায় বের করলেন নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীরা। কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা জানতে আর অপেক্ষা করতে হবে না, নমুনা সংগ্রহের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষার ফল জানা যাবে! এমনই দাবি করছেন দেশটির এক দল গবেষক। গবেষকদের দাবি, চিনি মিশ্রিত জল এবং মৌমাছি- এই দুটি দিয়েই চালানো যাবে পরীক্ষা। কিন্তু কীভাবে?

পরীক্ষার জন্য গবেষকরা বিজ্ঞানী প্যাভলভের নীতি অনুসরণ করেছেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকরা ১৫০ মৌমাছিকে এর জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। মৌমাছিদের ঘ্রাণশক্তি প্রবল। এটাকেই কাজে লাগিয়েছেন তাঁরা। প্রথমে কোভিড পজিটিভ এবং কোভিড নেগেটিভ ব্যক্তিদের থেকে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিবার ওই মৌমাছিদের কোভিড পজিটিভ ব্যক্তি থেকে সংগৃহীত নমুনার সংস্পর্শে এনেই তাঁদের চিনি মিশ্রিত জল খেতে দেওয়া হয়।

একইভাবে কোভিড নেগেটিভ ব্যক্তি থেকে সংগৃহীত নমুনার সংস্পর্শে নিয়ে আসার পর মৌমাছিদের সামনে চিনি মিশ্রিত জল রাখা হয়নি। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় মৌমাছিগুলোর মধ্যে প্যাভলভের নীতি অনুসারে অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া দেখা যায়। কোভিড পজিটিভ নমুনার সংস্পর্শে আসামাত্রই তারা চিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার জন্য প্রবোসিস (মৌমাছিদের জিভ) বের করতে শুরু করে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই পদ্ধতিতে ওই প্রশিক্ষিত মৌমাছিদের সংস্পর্শে নমুনা আনলে তাঁরা প্রবোসিস বের করছে কিনা তা দেখেই বোঝা সম্ভব ওই ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ রয়েছে কি না।

এই পদ্ধতিতে খরচও নামমাত্র। যদিও এখনও এই পদ্ধতি গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আশাবাদী আর কয়েক মাসের মধ্যেই এই গবেষণা চূড়ান্ত করে ফেলবে তাঁরা। এর ফলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারটা যেমন তাড়াতাড়ি জানা যাবে, তেমনই খুব অল্প খরচেই মানুষের সেবা করা যাবে।

Published by:Rohan Chowdhury
First published:

Tags: Bees, Coronavirus