হোম /খবর /কলকাতা /
কলকাতায় পাঁচিলহীন করোনা হাসপাতাল, প্রতিবাদে পথে স্থানীয়রা

কলকাতায় পাঁচিলহীন করোনা হাসপাতাল, প্রতিবাদে পথে স্থানীয়রা

মাথা ঠুকেও হাসপাতালের কোভিড বেড যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এই অবস্থায় সরকারি উদ্যোগ রাজ্যে কোভিড চিকিৎসার বেড বাড়ানোর। আর তা করতেই খোদ কোলকাতায় বাধা

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: মাথা ঠুকেও হাসপাতালের কোভিড বেড যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এই অবস্থায় সরকারি উদ্যোগ রাজ্যে কোভিড চিকিৎসার বেড বাড়ানোর। আর তা করতেই খোদ কোলকাতায় বাধা। উত্তর কলকাতার বি কে পাল অ্যাভেনিউর অবিনাশ দত্ত মেটারনিটি হোম। ২০১৩ সাল থেকে আর জি কর হাসপাতালের অতিরিক্ত ভবন হিসেবে চিকিৎসার কাজ শুরু। ১২০ বেশি বেডের চিকিৎসার বন্দ্যোবস্ত। সেই আপাত শান্ত অবিনাশ দত্ত মেটারনিটি হোম ঘিরে প্রতিবাদের পোস্টার,  ফ্লেক্স পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদ স্বরূপ সেখানে লেখা, " ঘন বসতি পূর্ণ জায়গায় কোভিড হাসপাতালের প্রতিবাদ করছি।"

কয়েকদিন আগে সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের। মঙ্গলবার আউটডোর টিকিট দেওয়া বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় মানুষ চরম আতঙ্কে। হাসপাতালের পাশের বাড়ি ১১৭ নং বি কে পাল অ্যাভেনিউ। বাড়িতে একাধিক পরিবারের বাস। এস কে আগরওয়ালের অভিযোগ, " কিসের ভিত্তিতে আমার বেড রুমের ৬ ফুট দূরত্বে কোভিড হাসপাতালের দেওয়াল ? সরকার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করছে করোনা রুখতে দুই ব্যাক্তির মধ্যে দূরত্ব হবে ৬ ফুট। সেখানে ৬ ফুট দূরত্বে ১০০-র বেশি বেডের কোভিড হাসপাতাল ? আমার পরিবারের করোনা রোখার নিরাপত্তা কোথায় ?"

এলাকায় ওষুধের দোকান মনোরম পাল দের। তিনি বলছেন, "হাসপাতালের পিছনের দিকে আমাদের বাড়ি। যে হাসপাতালের কোনও পাঁচিল নেই সেই হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা কীভাবে সম্ভব ? WHO ঘোষণা করেছে করোনা বায়ুবাহিত হয়েও ছড়াচ্ছে। সেখানে এই কোভিড হাসপাতালের যৌক্তিকতা কোথায় ? কোভিড হাসপাতালের আমরা বিরোধিতা করছি না,কিন্তু আমরা নিরাপদ এই গ্যারান্টি কে দেবেন ?''

মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়দের প্রতিবাদ পোস্টার বি কে পাল এভিনিউ ছাড়িয়ে রবীন্দ্র সরণি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। এই 'নিরাপত্তা'-র গ্যারান্টি ছাড়া কোভিড হাসপাতাল হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন স্থানীয় যুবক দীপ্তেন্দু গুঁই, সর্বজিৎ মুখোপাধ্যায়-রা। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল, স্বাস্থ্য ভবনে নালিশ ঠুকেছেন স্থানীয়রা।

ARNAB HAZRA

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Pre covid hospital