#কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি যতটা উদ্বেগজনক হচ্ছে ততটাই যেন রমরমা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের একাংশের। দরকার ছিল অক্সিজেন, তার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছিল সন্তু গাঙ্গুলির সহকারীরা। বেহালার একটি দোকানে অক্সিজেন পাওয়া যায় দেখে খোঁজ শুরু করেন সবাই।
দোকানদারের থেকে উত্তর আসে অক্সিজেন পাওয়া যাবে। প্রতিদিন পাঁচশো টাকা ভাড়া সহ এক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ জমা দিলেই মেলে অক্সিজেন। সেই দামের কথা মাথায় রেখে দাম জানতে চাইলে চোখ কপালে উঠে ক্রেতাদের। পকেটে থাকা ২৯০০ টাকা নিয়ে দাম জানতে চাইলে, জানানো হয় দাম ১১৫০০ টাকা। এত দামের কথা শুনে সহজেই বোঝা যায় অক্সিজেনের কালো বাজারি করছে। বাড়িতে থাকা দুই মাসের রকির কথা ভেবে সেই দাম দিতে রাজি হয়ে যায় সবাই। পকেটে টাকা কম থাকায় পুরো দাম দিতে পারেনি কেউ।
পরে জানানো হয় রোগীর অবস্থা একটু একটু করে অবনতির দিকে যাচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ সেই অক্সিজেনের প্রয়োজন খুবই। দোকানের তরফ থেকে সেই ঘটনার গুরুত্ব বুঝেও দাম নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাননি বেহালার হো-চি-মিন সরনির প্রাপ্তি কেয়ার এন্ড কিয়রের কর্ণধার। বারবার আবেদন করার পরেও মেলেনি কোন সুবিধা। সঙ্গে থাকা ২৯০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজি হননি দোকানের মালিক।
দোকানের তরফে জানানো হয় পুরো ১১৫০০ টাকা দিলেই মিলবে অক্সিজেন। দীর্ঘ এক ঘন্টা বাদানুবাদ হবার পরেও মেলেনি অক্সিজেন। তার মধ্যে খবর আসে রকি আর নেই। সেই পোষ্যটির মালিক বকেয়া টাকা আর না দিয়ে খবন দেন কলকাতা পুলিশের ইবি-তে। ইবি-র ডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষের কাছে খবর যেতেই কালোবাজারির অভিযোগে দোকানে যায় অফিসারা। দোকানের কর্ণধার প্রথমে পুরো ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখে মেলে অনেক তথ্য। এই ঘটনার জেরে কলকাতা পুলিশের ইবি-র তরফে আইননুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Susobhan Bhattacharya
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।