Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: চাল ডাল সব মিলবে। আতংকিত হবেন না। ২১ দিনের খাবার ঘরে মজুত করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ জুড়ে ২১ দিনের লক ডাউন ঘোষণার পরই বর্ধমানে উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের বেশিরভাগই দোকানে দোকানে হামলে পড়েছেন। মধ্যরাত পর্যন্ত অনেকে এ রকম লাইনে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করেছেন। অনেক খুচরো দোকানেই মুড়ি, ডিম, সোয়াবিন, চাল, ডালের মজুত শেষ হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় ভিড় দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছে পুলিশের টহলদারি ভ্যান। এসব দেখেই জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রয়োজন অনুযায়ী পাবেন বাসিন্দারা। তার সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে তা দেখছে প্রশাসন। অযথা আতঙ্কিত হয়ে সবাই মিলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই। অনেকে গুজব ছড়াতে পারে। সেসবে কান না দিয়ে সতর্ক থাকুন।
জনতা কার্ফুর পরই লক ডাউন ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এমনিতেই খুচরো মুদিখানার দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগান কম ছিল। তার ওপর মঙ্গলবার রাতে টানা তিন সপ্তাহের লক ডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই খাদ্য সামগ্রী মজুতের জন্য বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। পাড়ার মুদিখানা দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। লাইনও পড়ে যায় কিছু কিছু দোকানে। অনেকেই বস্তা বস্তা চাল আলু বাড়িতে মজুতের চেষ্টা চালান। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডিম, চিনি, নুন, আটা, মুড়ি, চাল।
বুধবার সকালে অনেক মুদিখানা দোকানেই ঝাঁপ বন্ধ। কারণ, মজুত খাদ্য সামগ্রী শেষ। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে চাল ডাল আনার পর দোকান খোলা যাবে। পাইকারি বাজারে সরবরাহ ঠিক থাকলে তবেই দোকান সচল রাখা যাবে। চাহিদা বাড়ায় চলছে কালোবাজারিও। অনেকেই চাল ডাল আলু পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। বেড়েছে সরষের তেল, বনস্পতি তেলের দাম। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী লক ডাউনের আওতার বাইরে রয়েছে। তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। চাল ডাল আলু পেঁয়াজের গাড়ি কোথাও আটকানো হচ্ছে না। সাময়িক সমস্যা হলেও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগান স্বাভাবিক থাকবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Lock Down, Stock food