মিলল না খাবার! তিন দিনের যাত্রাপথে জল খেয়েই কাটাল পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার

Last Updated:

ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দাবি, যাত্রাপথে একটিও হোটেল খোলা পাননি তাঁরা৷ ফলে প্রায় তিন দিনের যাত্রাপথে শুধু জল খেয়েই কাটাতে হয়েছে তাঁদের৷

#জৌনপুর: তিন দিনের যাত্রা৷ বাবা মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিল দেড় বছরের শিশুও৷ কিন্তু গোটা পথে কোথাও মিলল না একদানা খাবার৷ মুম্বই থেকে উত্তর প্রদেশের জৌনপুর আসার পথে শুধু জল খেয়েই বেঁচে থাকল পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার৷
উত্তর প্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা আশিস বিশ্বকর্মা নামে ওই যুবক মুম্বইতে কাঠের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন৷ কিন্তু লকডাউনের জেরে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি৷ এই পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় মাস অপেক্ষার পর অবশেষে গ্রামের বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে জৌনপুরগামী একটি ট্রাকে স্ত্রী এবং দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে জায়গা পান তিনি৷ ওই ট্রাকে তাঁদের সঙ্গে আরও ৩৫ জনের ফেরার কথা ছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি ট্রাকেই অন্তত ৫০ জন ফেরেন৷
advertisement
মুম্বইয়ের নাল্লাসোপারা এলাকায় পরিবারকে নিয়ে থাকতেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক৷ তিনি জানান, প্রথমে গত ১০ মে ট্রাকটি রাতে ছাড়ার কথা ছিল৷ কিন্তু ওই এলাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এই আশঙ্কাতেই তাড়াহুড়ো করে বিকেলেই ছেড়ে দেয় ট্রাকটি৷ আর সেই তাড়ায় নিজেদের সঙ্গে কোনও খাবার না নিয়েই স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে ট্রাকে উঠে পড়েন আশিস৷
advertisement
advertisement
ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দাবি, যাত্রাপথে একটিও হোটেল খোলা পাননি তাঁরা৷ ফলে প্রায় তিন দিনের যাত্রাপথে শুধু জল খেয়েই কাটাতে হয়েছে তাঁদের৷ আশিস জানিয়েছেন, মেয়ের জন্য কিছুটা গুঁড়ো দুধ ছিল তাঁদের কাছে৷ জলে গুলে কোনওক্রমে সেটাই তাকে খাওয়ানো হয়৷ প্রচণ্ড গরমে প্রায় গোটা রাস্তাই কাঁদতে কাঁদতে আসে শিশুটি৷
জৌনপুরে পৌঁছনোর পরও অবশ্য বাড়িতে ঢুকতে পারেন আশিসরা৷ কারণ গ্রামের বাইরে একটি মাঠের মধ্যেই আপাতত থাকতে হচ্ছে তাঁদের৷ নিজেদের পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেই এমনটা করতে হয়েছে৷ কারণ আশিসের আড়াই বছরের ছেলেও তাঁর দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে জৌনপুরেই থাকত৷ সবার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কোনও ঝুঁকি নেননি ওই পরিযায়ী শ্রমিক৷ আশিসের দাবি, জৌনপুরে প্রতিদিন মুম্বই থেকে দু'- তিনটি ট্রাকে করে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন৷ এখন তাঁর আশা, লকডাউন উঠলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই মুম্বইতে ফিরে আবার কাজ শুরু করবেন৷
advertisement
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
মিলল না খাবার! তিন দিনের যাত্রাপথে জল খেয়েই কাটাল পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement