কিসের করোনা! বর্ধমান মেডিক্যালে গাদাগাদি করেই বসে রোগীর আত্মীয়ার
- Published by:Arindam Gupta
- news18 bangla
Last Updated:
হাসপাতালে কর্মরত পুলিশ কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়াররা এসে মাঝেমধ্যে দূরে দূর বসার কথা বলছেন। তখনকার মতো কেউ কেউ সরেও যাচ্ছেন।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক জায়গায় গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে থাকছেন অনেকেই। এঁরা সকলেই রোগীর আত্মীয় পরিজন। ভিজিটিং আওয়ার ছাড়া সকলেরই দিন কাটছে এক জায়গায় বসে। এর ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। হাসপাতালে কর্মরত পুলিশ কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়াররা এসে মাঝেমধ্যে দূরে দূর বসার কথা বলছেন। তখনকার মতো কেউ কেউ সরেও যাচ্ছেন। আবার পরক্ষণেই এক জায়গায় একত্রিত হচ্ছেন সকলে। রাতেও অনেকে ঘুমোচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে কাঁপছে বিশ্ব। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে টানা ২১ দিনের লক ডাউন চলছে। সবাইকে ঘরের মধ্যে থাকার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই। কিন্তু অনেকের সংকটাপন্ন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের প্রয়োজনে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে আত্মীয় পরিজনদের। কিন্তু সেখানে সামাজিক দূরত্বটুকুও বজায় রাখার ক্ষেত্রে সচেতন নন অনেকেই। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সামনে বিশ্রামাগার, রাধারানি ওয়ার্ডের সামনে বা আউটডোরের সামনে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের বারান্দা - সব জায়গাতেই লোক থিকথিক করছে। সেই ভিড়ের মধ্যেই শিশু কোলে বসে থাকছেন মহিলারাও।
advertisement
এখানেই বিপদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এলাকার পুরুষ মহিলার ভিড় হাসপাতালে। কে যে নিজের অজান্তেই করোনা ভাইরাস বহন করছেন জানা নেই কারোরই। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা সবচেয়ে আগে জরুরি। অথচ তা পালিত হচ্ছে না। অনেকেই ন্যূনতম স্বাস্থ্য বিধিটুকুও মেনে চলছেন না। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দূরের কথা সাবান জলে হাত না ধুয়েই খাবার খাচ্ছেন অনেকেই। তাই এইসব জায়গা থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশংকা থেকেই যাচ্ছে।
advertisement
advertisement
তাদের বক্তব্য, পুলিশের সাহায্য নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত সামাজিক দূরত্ব মানতে সকলকে বাধ্য করা উচিত। প্রয়োজনে এইসব এলাকায় সর্বক্ষণের পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হোক। হাসপাতাল নিজের উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে সবার হাত পরিষ্কার করাক। নচেৎ এই ভাইরাস হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে ই যাচ্ছে।
SARADINDU GHOSH
view commentsLocation :
First Published :
March 28, 2020 3:22 PM IST