#কলকাতা: ময়দান তাঁকে ডাকে গড়ের মাঠের জোয়াকিম লো। প্রখর ফুটবল বুদ্ধিই শুধু নয়। আদব-কায়দা, স্টাইল স্টেটমেন্টে বরানগরের রঞ্জন বিশ্বজয়ী জার্মান কোচের হার্ড ফলোয়ার। ক্লাব সংগঠক হিসেবে বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে এক ডাকে চেনে গোটা বরাহনগর।
প্রতিভা আছে কিন্তু সাধ্য নেই। সহায় রঞ্জন স্যার। বরানগরের রঞ্জন ভট্টাচার্যর হাত ধরে কত প্রতিভা যে ময়দানের লাইমলাইটে এসেছে, তার হিসেব নেই। তালিকায় শেষ সংযোজন ISL-এ মুম্বই সিটির ফুটবলার শৌভিক চক্রবর্তী। তবে ফুটবল থাকুক বা না-থাকুক, বছরের ৩৬৫ দিন বরানগর ডাকলেই পায় রঞ্জনকে। মারণ ভাইরাস করোনার তান্ডবে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষিত হয়েছে কলকাতা লাগোয়া বরানগরের একাধিক এলাকা। আর বেঁধে রাখা যায়নি ময়দানের পরিচিত নাম রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। লকডাউনের অন্ধকার দিনগুলোয় এলাকার মানুষদের দুর্দশা দূর করতে নেমে পড়েছেন সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার কোচ রঞ্জন। বরাবরই প্রচারবিমুখ। তৃণমূলস্তর থেকে উঠে এসেছেন বলেই হয়তো মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের মানসিকতাটা বোঝেন!
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্য নিতে অসহায় পরিবারগুলোর অনেকেরই মনে সায় দেয় না। রঞ্জন তাই কুপন ছাপিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন অসহায় মানুষগুলোর হাতে। কুপন নিয়ে নির্দিষ্ট দোকানে গেলেই মিলছে চাল, ডাল, শস্যসামগ্রী। দিনের শেষে নির্দিষ্ট দোকানে বিল মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।বাংলার দলের কোচ বলছেন, "প্রকাশ্যে, সর্বসমক্ষে লাইনে দাঁড়িয়ে সাহায্য নিতে অনেকেই লজ্জা পান। পরিবারগুলোর অনেকেরই সামাজিক অবস্থা হাত পেতে সাহায্য নেওয়ার মত নয়। কিন্তু পরিস্থিতির শিকার হয়ে আজ অনেককেই এটা করতে হচ্ছে। অসহায় পরিবারগুলোর অস্বস্তি কমাতেই এইভাবে পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছি।"
নিজের উদ্যোগে এমন করে প্রতিদিন বরানগরের ১০০ পরিবারের অন্নের সংস্থান করছেন ময়দানের জোয়াকিম লো। রঞ্জনের আবেদনে সাড়া দিয়ে কর্মহীন, জীবিকাহারা মানুষগুলোর পাশে থাকতে এগিয়ে এসেছে কালাকার পাড়া পূজা সম্মিলনীর মত এলাকার বেশ কিছু ক্লাব। লকডাউনের দিনগুলোতে বরানগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার অসহায় পরিবারগুলোর ভরসা রঞ্জনদের মত মানবিক মুখগুলো।
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Ranjan Bhattacharya