হোম /খবর /কলকাতা /
হাসপাতাল বলল সুস্থ! ফেরাতে গিয়ে পরিবার জানল সাত দিন আগেই মারা গিয়েছেন করোনা রোগী

হাসপাতাল বলল সুস্থ! ফেরাতে গিয়ে পরিবার জানল সাত দিন আগেই মারা গিয়েছেন করোনা রোগী

এমনই ঘটনা ঘটেছে বলরাম হাসপাতালে।

এমনই ঘটনা ঘটেছে বলরাম হাসপাতালে।

মোহিনীবাবু বলে যাকে পরিবারের হাতে তুলে দিতে চাইছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, তিনি আদৌ মোহিনীবাবু নন। তিনি বিরাটির শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • Share this:

#খড়দহ: খড়দহের বলরাম হসপিটালের গাফিলতিতে চরম দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ১৩ নভেম্বর মৃত ব্যক্তির মৃত্যুসংবাদ পরিবার জানতে পারল ২০ তারিখে। ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।

৪ নভেম্বর করোনা পজিটিভ হয়ে বলরাম হসপিটালে ভর্তি হন মোহিনীমোহন মুখোপাধ্যায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর । পরিবারের দাবি, তাঁরা প্রতিনিয়ত  হসপিটাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে  যোগাযোগ রেখেছিলেন। নিয়মিত  হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল, মোহিনীবাবু ভালোই আছেন। গতকাল, ২০ নভেম্বর হসপিটাল থেকে জানানো হয় তিনি সুস্থ হয়ে গেছেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্যেও বলা হয়। সেই মাফিক ওই পরিবারের লোকজন তাঁকে আনতে বলরাম হসপিটালে যান। সেখানে গিয়ে হতবাক হয়ে যান মোহিনীবাবুর পরিবার। তাঁরা দেখেন মোহিনীবাবু বলে যাকে পরিবারের হাতে তুলে দিতে চাইছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, তিনি আদৌ মোহিনীবাবু নন।  তিনি বিরাটির শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর জানা যায়, ৭ নভেম্বর মোহিনীবাবুকে বারাসাত কোভিড হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি ১৩ তারিখেই বারাসাত জিএনআরসি হাসপাতালে   মারা যান। আরও অবাক  করার মতো বিষয়, মোহিনীবাবুর ছেলে ১০ তারিখ থেকে প্রতিদিন নিয়মিত খাবার পৌঁছে দিয়েছিলেন বলরাম হসপিটাল তাঁর বাবার জন্য। প্রশ্ন সেই খাবার কে খেল এতদিন! খড়দহ পৌরসভার প্রশাসক কাজল সিনহা বলেন, "কাগজপত্র ভুল থাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।" বিষয়টি তিনি সি এম ও এইচ কে ও জানিয়েছেন।

উত্তর ২৪ পরগনার সি এমও এইচ তাপস রায় এই ঘটনার জন্য চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।তবে প্রাথমিক ভাবে তাঁদের গাফিলতির কথা তিনি মেনে নিয়েছেন।

এদিকে শ্রাদ্ধের তিন দিন আগে নিজের বাড়িতে ফিরে বিরাটর সকলকে চমকে দিয়েছেন শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাঁর ছেলে অন্ত্যেষ্টি পরবর্তী কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছিলেন। আর খড়দহের মোহিনী মুখার্জী পরিবারে শোকের ছায়া। ওই পরিবারের সদস্যা তৃষা মুখার্জীর অভিযোগ, বলরাম হাসপাতালে ৬৫ নং বেডে দু'দিন আগে ৭৪ বছরের শিবদাস ব্যানার্জী ভর্তি ছিলেন। আর তার পর ৭৩ বছরের মোহিনী মুখার্জী ভর্তি হন।সেখানেই ৭৩ আর ৭৪ এ গলোযোগে এই বিভ্রাট!

Published by:Arka Deb
First published:

Tags: Coronavirus, COVID19, Khardah