#আসানসোল: সুরা থেকে সাংসারিক টুকিটাকি। লকডাউনের সুযোগে অনলাইনে মায়াজাল। ফাঁদ পেতে পকেট ফাঁক সাধারণের। প্রতারণার নেপথ্যে সেই জামতাড়া গ্যাং।
লকডাউনের বাজার। সুরার টানে গলা শুকিয়ে কাঠ। আর এই সুযোগেই প্রতারণার জাল। এক ফোনেই ঘরে রঙিন বোতল পৌঁছে দেওয়ার টোপ দিয়ে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সিঁদ কাটছে প্রতারকরা। মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্কের গচ্ছিত টাকা।
কী ভাবে চলছে প্রতারণা ? সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথমে দেওয়া হচ্ছে হোম ডেলিভারির বিজ্ঞাপন। মদের লোভ দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে বাজিমাত প্রতারকদের। ফোন করে ব্যাঙ্কের তথ্য দিতেই ফাঁক হচ্ছে অ্যাকাউন্ট। এখন যেহেতু সবাই অনলাইনের উপর নির্ভরশীল। সুযোগ নিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। নতুন নতুন প্রতারণার ছক। বড় সংস্থার নাম করে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে লুঠ হচ্ছে সাধারণ মানুষের টাকা। পুলিশের দাবি, প্রতারণার পেছনে যোগ রয়েছে জামতাড়া গ্যাংয়ের। একসময় এটিএম জালিয়াতিতে হাত পাকিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং। সাইবার অপরাধের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত জামতাড়া। এতই তার কুখ্যাতি, যে জামতাড়া নিয়ে ওয়েব সিরিজও তৈরি হয়েছে। এখন লকডাউনের বাজারে তাদের সফট টার্গেট, অনলাইনে কেনাকাটা।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুকেশ জৈন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে। সেখানে এই প্রতারকরা ভিনরাজ্যের বলেই জানা গিয়েছে।প্রতারকদের জাল থেকে বাঁচতে তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আর্জি, অনলাইনে কেনাকাটা থেকে দূরে থাকুন। কেনাকাটা করলেও সাবধানে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Jamtara Gang