#দিল্লি: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক পর এক আত্মত্যাগের কথা সামনে আসছে৷ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে পুলিশ, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ দিচ্ছেন অনেকেই৷ এরই মধ্যে দিল্লির এক তরুণ আইপিএস অফিসারের কর্তব্যপরায়ণতার এমন এক নজির সামনে এলো, যা নিঃসন্দেহে অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে৷ কারণ নিজের ক্যান্সার ধরা পড়েছে জানার পরেও নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন তিনি৷
ওই তরুণ আইপিএস অফিসারের নাম আনন্দ মিশ্র৷ তিনি দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি পদে কর্মরত রয়েছেন৷ দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মূল দিল্লি শহরের বাইরে যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকরা থাকেন, সেখানেই শ্রমিকদের মধ্যে খাবার এবং ত্রাণ বিলি কাজের তদারকি করছিলেন ওই আইপিএস অফিসার৷
এর মধ্যেই এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে গলায় ব্যথা অনুভব করেন তিনি৷ তাঁর করোনা সহ অন্যান্য পরীক্ষা করানো হয়৷ শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকরা জানান, ওই আইপিএস অফিসারের থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে৷ দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা৷
এই খবর শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই ওই আইপিএস অফিসার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন৷ কিন্তু সেই ধাক্কা দ্রুত সামলে উঠে নিজের ডিউটি করতে থাকেন তিনি৷ এমন কী, তাঁর সহকর্মীরাও অনেকে তাঁর অসুস্থতার কথা জানতে পারেননি৷ দিল্লির পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিকও জানিয়েছেন, তাঁরাও অনেক পরে ওই অফিসারের অসুস্থতার কথা জানতে পারেন৷
শেষ পর্যন্ত দিন কয়েক আগে ওই অফিসারকে দিল্লির রাজীব গাঁধি ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি করা হয়৷ সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার সফল হলেও পরবর্তী আটচল্লিশ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা৷ এই সময়টুকু ওই তরুণ অফিসারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আনন্দ মিশ্র নামে ওই অফিসারের ভাই জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে৷ অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে ক্যান্সারকে হারিয়ে তিনি ফের পুলিশের উর্দি পরে ডিউটিতে ফিরবেন, এই প্রার্থনাই করছেন তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীরা৷