#নয়াদিল্লি: তিনদিনে দ্বিতীয়বার যখন করোনা ভাইরাসের সংখ্যা হঠাৎ করেই বেশি বৃদ্ধি পেল ৷ রবিবার দিনের হিসেব কেন্দ্রীয়মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৭৫৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৫২ সেখানে একধাক্কায় এই সংখ্যাটা সেই আক্রান্তের সংখ্যার চেয়েও বেশি ৷
সররকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬,৯১৭ ৷ শনিবার রাত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের ৷ ফলে সারা দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৮২৬ ৷
এই মুহূর্তে কোভিড ১৯ থেকে সেরে গেছেন ৫৯১৩ জন (২১.৯৬শতাংশ) ৷ আর সারা দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০,১৭৭ ৷ সরকারি আধিকারিকদের মতে ভারতীয়দের সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা একটা ভালো লক্ষণ ৷ গত দশদিনে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটা ১২ শতাংশ বেড়েছে ৷
রবিবার দিন দিল্লির AIIMS যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন তিনি জানিয়েছেন দেশের করোনা পরিস্থিতি একটু একটু করে উন্নত হচ্ছে ৷ হটস্পট জেলা থেকে আস্তে আস্তে অনেক জেলা নন হটস্পট জেলায় পরিণত হচ্ছে ৷
সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন করোনা ভাইরাস অতিমারির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৷ লকডাউনের ফলে ডাবলিং রেট এখন দশদিনে দাঁড়িয়েছে ৷ নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল জানিয়েছেন ভারত যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করত তাহলে এতদিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হতেন ৷
রবিবার দিন আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে হঠাৎ করে সংখ্যাটা ভীষণ বেড়ে যাওয়ায় ষ এই দুটি রাজ্যই এই মুহূর্তে ভারতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত রাজ্য ৷
এই মুহূ্র্তে মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬২৮, দ্বিতীয় স্থানে থাকা গুজরাতে আক্রান্ত ৩০৭১, তিনে রয়েছে দিল্লি সেখানে আক্রান্ত ২৬২৫ ৷ রাজস্থান (২০৮৩), মধ্যপ্রদেশ (২০৯৬), উত্তরপ্রদেশ (১৮৪৩) ,তামিলনাড়ু (১৮২১), অন্ধ্রপ্রদেশ (১০৯৭), তেলেঙ্গানা (৯৯১) ৷
রবিবারের ৪৭ টি মৃত্যুর ২২ টি মহারাষ্ট্রে, ৮ টি রাজস্থানে, ৭ টি মধ্যপ্রদেশে, ৬টি গুজরাতে, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কাশ্মীর, তামিলনাড়ুতে একটি করে মৃত্যু স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে ৷