#কলকাতা: অধুনা বিধায়ক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ফুটবলার হিসেবেই বাঙালি মননে তার প্রথম পরিচিতি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডানের বড় ক্লাবের পাশে বাংলা কিংবা জাতীয় দলের জার্সিতে বহু স্মরণীয় ম্যাচে গোল করে নায়ক হওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে তার। হারিয়ে যেতে বসা বাঙালি স্ট্রাইকারের বিরল তালিকায় শেষ সংযোজন ছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। বিধায়কের রোজের ব্যস্ততার মাঝেও ফুটবলকে ভোলেননি বসিরহাটের ভূমিপুত্র।
দীপেন্দু দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তরতর করে এগিয়ে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ইদানিং ঘরবন্দি ফুটবলার-বিধায়ক দীপেন্দু। সময় কাটছে সল্টলেকের এফডি ব্লকের সেই পুরনো ঠিকানাতেই। ময়দানে বহু বড় ম্যাচ জিতিয়ে সমর্থকদের কাঁধে চেপে এই ঠিকানাতেই ফিরতেন। বিধায়ক হওয়ার পরেও তাই নিজের আস্তানা বদলাননি বসিরহাটের সিধেসাধা মানুষটা। বদল হয়নি দীপেন্দুর সোজাসাপ্টা চরিত্রেও। এখনও এক ফোনেই ওপার থেকে ভেসে আসবে মফস্বলের গন্ধ মাখা চেনা স্বরটা।
লকডাউনে সময় কাটছে কী ভাবে? প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই ঝকঝকে হাসি। বলছেন, "বাড়িতেই থাকছি। সকাল আর সন্ধ্যাটা ফোনে ফোনে বসিরহাটের খোঁজখবর রাখছি। বিধায়ক হিসেবে একটা দায়িত্ব তো রয়েই যায়। বাকি সময়টা মেয়ে ঐশানীর সঙ্গে খেলে। সারা বছর ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে সময় দেওয়াই হয় না। এখন যেটুকু পারছি, পুষিয়ে দিচ্ছি।" কথায় কথায় উঠে এল করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গ।
খেলোয়াড় জীবনের উদাহরণ টেনে স্ট্রাইকার বলছেন, "আরে! আমিও তো স্ট্রাইকার ছিলাম। বল না পেলে গোল করা সমস্যার। করোনা-কে কেউ বল না বাড়ালেই হল। আটকে পড়বে করোনা। এই সময়টা ঘরবন্দি থাকুন। ব্যাস, করোনা-কে রুখতে এটাই প্রথম করনীয়।" কথা বলতে বলতেই নিজের বিধানসভাক্ষেত্র থেকে ফোনের পর ফোন। দক্ষ বিধায়কের মতোই সামলে দিলেন সবটা। ফুটবলার জীবনে যেমনটা দিতেন। কত বড় ম্যাচ একাই এভাবে উতরে দিয়েছেন দীপেন্দু। নাহ! বদলাননি দীপেন্দু! লকডাউনের অবসরে বাড়ির ড্রইংরুমে বল নিয়ে জাগলিংটা বলে দিচ্ছিল স্কিলটা এখনও অটুট। প্রতিভা হারায় না। বদলায় না দীপেন্দুরা। চ্যাম্পিয়নরা চ্যাম্পিয়ন-ই থাকে। করোনা, হান্টার মতো মারণ ভাইরাসের ডিফেন্স ভাঙতে তো এমন মুখই খোঁজে সমাজ।
PARADIP GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Dipendu Biswas, Lock Down