Green Fungus : ব্ল্যাক-হোয়াইট-ইয়েলো-র পর এবার গ্রিন ফাঙ্গাস ভয়, জানুন সুরক্ষিত থাকার 'এই' উপায়গুলি...

Last Updated:

কালো-সাদা-হলুদের পর, এবার থাবা বসাল গ্রিন ফাঙ্গাস (Green Fungus)। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির দেহে থাবা বসিয়েছিল সবুজ ছত্রাক।

সূত্রের খবর, করোনামুক্তির পরেই পঞ্জাবের ওই ব্যক্তির শরীরে থাবা বসায় গ্রিন ফাঙ্গাস (Green Fungus)। আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে। এর আগেও পঞ্জাবে এক কোভিডরোগীর শরীরে গ্রিন ফাঙ্গাসের (Green Fungus) উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই রোগী 'গ্রিন ফাঙ্গাস'-এ আক্রান্ত তা নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কী করোনা মুক্তির পরেও সংকট কাটছে না পুরোপুরি?
advertisement
গ্রিন ফাঙ্গাস হওয়ার কারণ
গ্রিন ফাঙ্গাস বা অ্যাস্পারগিলোসিস সংক্রমণ, বাড়ির অভ্যন্তরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই অ্যাস্পারগিলোসিস নামক এক ছত্রাক পাওয়া যায়। এই ছত্রাক দ্বারা সংক্রমণের ফলে জ্বর এবং নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন ফাঙ্গাস সংক্রমণের ফলে মারাত্মকভাবে ওজন হ্রাস এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। যদিও করোনা সংক্রমণ থেকে পুনরুদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, গ্রিন ফাঙ্গাস সংক্রমণের প্রকৃতি অন্যান্য রোগীদের চেয়ে আলাদা কিনা, তা এখনও গবেষণাধীন।
advertisement
advertisement
কীভাবে গ্রিন ফাঙ্গাস ছড়ায়?
আমাদের শরীরে হাওয়ার মাধ্যমে এই ছত্রাকের ক্ষুদ্রকণা রোজ প্রবেশ করে। শ্বাসক্রিয়া চলার মাধ্যমে এই ছত্রাক আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যে সকল ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী, তাদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর নয়। তবে দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের, তাদের এটি ফুসফুস বা সাইনাসে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে শরীরের অন্যান্য অংশগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে। যদি সংক্রমণটির যথাসময়ে চিকিৎসা না করা হয়, তবে সংক্রমিত ব্যক্তির নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে। গ্রিন ফাঙ্গাস সংক্রামক নয় এবং এটি একজনের থেকে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায় না।
advertisement
গ্রিন ফাঙ্গাসের উপসর্গ : 
গ্রিন ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে যে যে উপসর্গগুলি দেখা দেয় - প্রচন্ড জ্বর, ঘা হওয়া, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, নাক থেকে জল পড়া, মাথা-যন্ত্রনা, হাড়ের সমস্যা, ওজন হ্রাস, বুকে ব্যথা, প্রস্রাব কম হওয়া এবং প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া, প্রভৃতি।
কাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি?
সাধারণত যাদের ফুসফুসের রোগ, যথা - যক্ষার মতো রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে এই গ্রিন ফাঙ্গাস দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এছাড়াও, যাদের হাঁপানি এবং সিওপিডি (chronic obstructive pulmonary disease)-এর মতো সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রেও এই ছত্রাক আক্রমণের সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যায়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল অথবা যাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে বা কেমোথেরাপি চলছে, তাদের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
advertisement
গ্রিন ফাঙ্গাস কীভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব
চিকিৎসকদের মতে, ভাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মৌখিক ও শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে, এই ছত্রাকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ধুলো-ময়লা এবং দূষিত জল সঞ্চিত, এমন জায়গা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। একান্তই যদি এই ধরনের অঞ্চলে যেতে হয়, তাহলে অবশ্যই এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করুন। ধুলো-বালি অথবা মাটির সংস্পর্শে আসলে, অবশ্যই হাত-মুখ ভালো করে সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Green Fungus : ব্ল্যাক-হোয়াইট-ইয়েলো-র পর এবার গ্রিন ফাঙ্গাস ভয়, জানুন সুরক্ষিত থাকার 'এই' উপায়গুলি...
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement