অনলাইনে খাবার অর্ডার? করোনা-কে ‘হোম ডেলিভারি’ নিচ্ছেন না তো !
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে আড্ডাবাজ, ভোজনরসিক বাঙালির রোজনামচায় শিবরাত্রির সলতে ছিল অনলাইনে খাবার অর্ডার। কিন্তু সেখানেও এবার করোনার লাল চোখ।
#কলকাতা: ফেলুদা থাকলে নির্ঘাত বলতেন,"নিশ্চিন্ত আর থাকা গেল না রে তোপসে!"সিনেমা হল বন্ধ। শপিং মলে তালা। ক্লাব রেস্তোরাঁয় ঝাঁপ নামানো। লকডাউনের নাগপাশে বিনোদন গা ঢাকা দিয়েছে মানুষের রোজের জীবন থেকে। লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে আড্ডাবাজ, ভোজনরসিক বাঙালির রোজনামচায় শিবরাত্রির সলতে ছিল অনলাইনে খাবার অর্ডার। কিন্তু সেখানেও এবার করোনার লাল চোখ।
দক্ষিণ দিল্লির মালভিয়া নগরে পিৎজা ডেলিভারি বয়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কোপ পড়েছে আমুদে বাঙালির অনলাইন রসনা তৃপ্তিতে। দিল্লির খবর কাঁপিয়ে দিয়েছে এই শহরের ফুডিদের। কেরাসিন অবস্থা কলকাতার খাদ্য রসিকদের।
আরসালানের বিরিয়ানি, আজাদ হিন্দের চিকেন ভর্তা, চাউম্যানের গ্রেভি নুডলস, কস্তুরীর কচু চিংড়ি ছড়া যাদের লাঞ্চ বা ডিনার জমত না, দিল্লির মালভিয়া নগরের ঘটনায় তাদেরও চোখ কপালে।
advertisement
advertisement
বালিগঞ্জের কর্পোরেট কত্রী ও গৃহবধূ নীলাঞ্জনা বোস যেমনবলছিলেন,"অনলাইনে অর্ডার করলেও মাইক্রোওভেনে সেটা গরম করে তবেই খাবার টেবিলে আনা হত। কিন্তু দিল্লির ঘটনার পর অনলাইনে খাবার অর্ডার করবো কী না সেটাই এখন ভাবতে হবে।" দক্ষিণের অভিজাত বসন্ত রায় রোডের ফ্যাশনদুরস্ত টিনএজার রুদ্রাণী দত্ত আবার ভরসা রাখছেন নো কন্টাক্ট ডেলিভারিতে। তবে দিল্লির ঘটনা ছাপ ফেলেছে জেন ওয়াই এর আধুনিক মননেও। তবে নীলাঞ্জনা বোস বা রুদ্রাণী দত্তদের আশঙ্কা ফেলনা নয়। শহর ঘুরে তেমনটাই ছবি উঠে এল আমাদের ক্যামেরায়। অনলাইন ফুড ডেলিভারি ব্যবসা ৫০ শতাংশ কমেছে। সুইগি বা জোমাটো প্রতিনিধিরা বলেছিলেন ১২ ঘণ্টা লগ-ইন থেকে ৫টার বেশি ট্রিপ অ-মিল।করোনা সতর্কতার দিনেও শহরের অনলাইন ফুড ডেলিভারি এখনও পিছনের সারিতে।
advertisement
কলকাতার অধিকাংশ ডেলিভারি বয় হ্যান্ড গ্লাভস বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডেলিভারি বয় যেমন ছিলেন সতর্কীকরণ ব্যবস্থার অধিকাংশটা জেনেও তারা মানেন না। শহরের রেস্তোরাঁগুলির অবস্থাও তথৈবচ। ডেলিভারি বয়দের হাতে খাবার খাবার তুলে দেওয়ার সময় পরীক্ষার বালাই নেই। দিল্লির ঘটনার পরেও শিক্ষা নেই এই শহরের অনলাইন ফুড ডেলিভারি বয়দের। বিপদ ওত পেতে আছে জেনেও নির্বিকার, উদাসীন কলকাতা। ভোক্তা ও সরবরাহকারী সেখানে এক ব্র্যাকেটে।
advertisement
PARADIP GHOSH
view commentsLocation :
First Published :
April 18, 2020 2:18 PM IST

