দুঃসময়...দাম নেই, গরুকে মাঠে নিয়ে গিয়ে শশা খাইয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা!
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
লক ডাউনের জেরে শশা কেনার কোনও খদ্দের নেই। মাঠের শশা মাঠেই পড়ে থাকছে।
#বর্ধমানঃ গরু মাঠে নিয়ে গিয়ে ক্ষেতের শশা খাইয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা! কারণ লক ডাউনের জেরে শশা কেনার কোনও খদ্দের নেই। মাঠের শশা মাঠেই পড়ে থাকছে। জেলা সদর বর্ধমানে শশা পাঠিয়ে যে খরচ হবে তাতে গাড়ি ভাড়ার অর্ধেকও উঠবে না। তাই ভরা মরশুমে মাঠে গরু নিয়ে গিয়ে তাদের শশা খাওয়াচ্ছেন কৃষকরা। একই অবস্থা জেলার অন্যান্য সবজি চাষিদেরও। পটল, ঝিঙে, ঢেঁড়শ, ক্যাপসিকাম, টমেটো- সবই বিক্রি হচ্ছে জলের দরে।
লক ডাউনে বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের শস্য ভান্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলার সবজি চাষিরা। এখন জমি থেকে শশা তোলার ভরা মরশুম চলছে। কিন্তু মাঠের শশাশম মাঠেই পড়ে থাকছে। কারণ, সেই শশা কেনার কোনও খদ্দের নাই। জেলার আউশগ্রামের পলাশতলা পাড়ার ৭০ - ৮০ বিঘে জমিতে প্রতি বছরের মত এ বছরও শশা চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। সেই শশা জমি থেকে তোলা শুরু হতেই করোনা ঠেকাতে লক ডাউন শুরু হয়েছে।
advertisement
এলাকার কৃষক মিঠু বৈরাগী, কার্তিক গায়েন, প্রতীক মেটে, বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, মূলত রেলের হকাররা এখানের শশা কিনে নিয়ে যায়। বাকি শশা গুসকরা বাজারের আড়তে বিক্রি করা হয়। কিন্তু লক ডাউনের কারণ গোটা দেশে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। ফলে রেলের হকাররা শশা কিনছে না। আবার সেই শশা যে বর্ধমানে পাইকারি বাজারে পাঠাবো তারও দাম নেই। দু'টাকা তিনটাকা কেজি দাম দেওয়া হচ্ছে। গাড়ি ভাড়ার অর্থেকও উঠবে না। তার ওপর শশা তোলার শ্রমিকের মজুরি রয়েছে। তাই উৎপাদিত শশা গবাদি পশুকে খাওয়ানো ছাড়া আর কোনও কাজেই লাগছে না। তাঁরা বলছেন, আগে বিহার ঝাড়খণ্ড দুর্গাপুর আসানসোলে সবজি যেত। এখন জেলার বাইরে যাচ্ছে না। লক ডাউনে সবাই গৃহবন্দি। তেমন বিক্রি নেই। আড়তেও চাহিদা নাই। বেশীর ভাগ কৃষকই বাজার থেকে মোটা টাকা ধারদেনা করে জমিতে শশা চাষ করেছেন। মিঠু বৈরাগী বলেন, তিনি ৬ বিঘে জমিতে শশা চাষ করেছেন।বাজার থেকে বীজ, সার কেনা নিয়ে তাঁর ঋণের পরিমাণ বেশ মোটা অঙ্কের। শশা বিক্রি করে ধার শোধ করবো ভেবেছিলাম। এখন তো আর অন্য কোনও উপায় দেখছি না।
advertisement
advertisement
Saradindu Ghosh
Location :
First Published :
April 13, 2020 5:23 PM IST