ভাঁড়ার শূন্য! অথচ গোডাউনে মজুত শয়ে শয়ে চালের বস্তা, রেশনের আটা! গ্রেফতার ৩
- Published by:Simli Raha
Last Updated:
পুলিশ জানায়, ওই গোডাউনগুলি থেকে একশো বস্তা চাল ও কুড়ি বস্তা রেশনের আটা উদ্ধার করা হয়েছে।
Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: কালোবাজারি রুখতে অভিযানে নামল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি বিশেষ টাস্ক ফোর্স। কালনা, কাটোয়া, বর্ধমান মেমারি - সর্বত্র অভিযান চলছে। ইতিমধ্যেই বেআইনিভাবে গুদামজাত করার অভিযোগে বেশ কয়েকশো বস্তা চাল আটক করা হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগে বিভিন্ন সামগ্রী মজুত করে বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরির অভিযোগ উঠছে। বেআইনি ভাবে পণ্য সামগ্রী গুদামে মজুতের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লক ডাউন শুরু হতেই বাজারে বাড়তে শুরু করেছে চাল, ডাল, আটা, তেল, ডিম-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। লক ডাউনের সময় সীমা বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় চাল ডাল, তেলের চাহিদা বেড়েছে। সেই সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কালোবাজারিতে সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও ভাবেই কালো বাজারি করতে দেওয়া যাবে না। যেখান থেকেই অভিযোগ মিলছে, সেখানেই অভিযান চালাচ্ছে টাস্ক ফোর্স। বেআইনি ভাবে চাল মজুতের অভিযোগে মন্তেশ্বর থেকে দু'জন ও মেমারি থেকে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত ধারাবাহিক ভাবে এই অভিযান চলবে।
advertisement
advertisement

করোনার জেরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কালোবাজারি রুখতে সোমবার রাত থেকে অভিযানে নেমেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। সেই অভিযানে প্রচুর পরিমাণে বেআইনিভাবে মজুত করা চাল ও রেশনের পন্য সামগ্রী আটক করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম এলাকার তিনটি গোডাউনে হানা দেয়। সেই গোডাউনেই বেআইনিভাবে মজুত ছিলো প্রচুর পরিমাণে নামীদামী কোম্পানির চাল ও রেশনে দেওয়া সরকারি প্যাকেটজাত আটা। পুলিশ জানায়, ওই গোডাউনগুলি থেকে একশো বস্তা চাল ও কুড়ি বস্তা রেশনের আটা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরেশ কর ও কাজি সারাফত আলি নামে দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
advertisement

এর আগে চড়া দামে মাস্ক বিক্রি করার কারণে মন্তেশ্বর পুলিশ আফসার সেখ ওরফে আবু নামে এক চায়ের দোকানদারকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও কালনা, নাদনঘাট ও পূর্বস্থলী থানার পুলিশও ব্যাপক অভিযান চালায়। শহর ও শহরতলির ওষুধের দোকান, মুদি ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকানগুলিতে লাগাতার অভিযান চলে।দোকানে থাকা ক্রেতার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, জিনিসের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে কি না। এছাড়া মজুত সামগ্রীর স্টক মিলিয়ে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা।ধারাবাহিকভাবে অভিযান চলবে বলে পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
advertisement
এছাড়াও কালনা শহরের চকবাজার, ফটকদ্বার, সোনাপট্টি সহ একাধিক এলাকার পাইকারি ও খুচরো দোকানে অভিযানে নামে পুলিশ। দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও সামগ্রী অতিরিক্ত মজুত করা যাবে না। নির্ধারিত দামের থেকে কেউ যেন বেশি না নেন।কৃত্রিম অভাব তৈরি করে কালোবাজারির বিষয়টিও কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলেও সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
view commentsLocation :
First Published :
March 24, 2020 2:43 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
ভাঁড়ার শূন্য! অথচ গোডাউনে মজুত শয়ে শয়ে চালের বস্তা, রেশনের আটা! গ্রেফতার ৩