কোভিড ১৯-এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে বার বার করে ফেস মাস্ক পরার কথা বলছেন চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, গবেষকরা। সম্প্রতি এক গবেষণায় নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে এর সত্যতা।আইআইটি বম্বের এক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন এক তথ্য। আমরা যখন হাঁচি বা কাশি, তখন আমাদের নাক বা মুখ থেকে বাতাসে তার কণা ছড়ায়। কিন্তু মাস্ক না পরে হাঁচলে ২৩ গুণ বেশি ছড়িয়ে যায় ড্রপলেট।
গবেষণাটি বলছে হাঁচি, কাশির পর বাতাসে কফ ক্লাউড তৈরি হয়। এবং তা পাঁচ থেকে আট সেকেন্ড থাকে। মাস্ক পরা থাকুক বা না থাকুক, এর পর আর সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না। ৫ থেকে আট সেকেন্ড পর আর বাতাসে ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে না ড্রপলেট।
গবেষকরা বলছেন, মাস্ক পরা আর না পরা- এই দুই অবস্থায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য ঘটে যেতে পারে পরিস্থিতিতে। মাস্ক না পরা থাকলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে ২৩ গুণ।
নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যখন ভ্যাকসিনকেই প্রধান্য দিচ্ছে বিশ্ব, সেই আবহে করোনার টিকার বদলে মাস্ককেই প্রধান এবং শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (সিডিসি)-এর ডিরেক্টর রবার্ট রেডফিল্ড। তিনি বলেন, করোনা রুখতে ভ্যাকসিনের চেয়েও শক্তিশালী সুরক্ষা দেবে মাস্ক।
ভারতে যেমন করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চলেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর), তেমনই আমেরিকায় এই পর্যবেক্ষণ করে সিডিসি। সেনেটের সাব-কমিটির হিয়ারিংয়ে রেডফিল্ড বলেন, তাঁদের কাছে বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ রয়েছে যে মাস্কই সব চেয়ে ভালো সুরক্ষা প্রদান করছে। আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে তিনি ভ্যাকসিনের গুরুত্বকেও হ্রাস করেছেন। বলেছেন, ভ্যাকসিনেও এতটা গ্যারান্টি থাকছে না, যতটা এই মাস্কে থাকছে।
মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে টানা দীর্ঘ কয়েক মাস দেশ জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনও সংক্রমণ আটকাতে পারেনি। উপরন্তু দেশের অর্থনীতি ধসে পড়েছে অতিমারীর আবহে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে লকডাউন সম্ভব নয়। মৃত্যুমিছিল বন্ধ করতে এই পরিস্থিতিতে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মাস্ক, এ কথা এক বাক্যেই স্বীকার করে নিচ্ছেন সবাই।
Written By: Madhumanti Chatterjee