#নয়াদিল্লি: খবর নিঃসন্দেহেই ভয়ের! কিন্তু সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষকে ত্রস্ত এবং ব্যস্ত করে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক সাগি শাপিরা আর তাঁর গবেষণা-দলের কাজ নয়। করোনাভাইরাস কী ভাবে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে সাম্রাজ্য বিস্তার করে চলেছে, কেন তার সঙ্গে যুঝে ওঠা প্রতিদিন হয়ে উঠছে আরও বেশি কঠিন, সেই লক্ষ্যেই গবেষণা চালিয়েছিলেন শাপিরা। যা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সেল সিস্টেম নামের জার্নালে। বলা বাহুল্য, শাপিরার এই গবেষণার দ্বিতীয় লক্ষ্য কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারও। যদি শরীরের ভিতরে করোনাভাইরাসের আক্রমণের ধরনটা ভাল করে বুঝে নেওয়া যায়, সন্দেহ নেই, সে ক্ষেত্রে তার সঙ্গে লড়াইটা অনেক সহজ হয়ে আসে।
শাপিরা আমাদের জানাচ্ছেন যে, আদতে কিন্তু এই লড়াই সহজ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কেন না, শরীরের ভিতরে একবার ঢুকে যাওয়ার পর এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটাচ্ছে করোনাভাইরাস। সে সরাসরি রূপ পালটে ফেলছে, রোগীর শরীরের ইমিউন প্রোটিনের চেহারা ধারণ করছে। অর্থাৎ শরীরের যে রোগপ্রতিরোধকারী প্রোটিন ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে, করোনা তারই ছদ্মবেশ নিচ্ছে। ফলে শরীরের অভ্যন্তরের গোটা সিস্টেম পড়ে যাচ্ছে ধন্দে। বুঝে উঠতে পারছে না যে কোনটা আদতে ভাইরাস আর কোনটাই বা ইমিউন প্রোটিন! যতক্ষণে বুঝে উঠছে, ততক্ষণে শরীরকে কলকবজাকে ভেঙেচুরে দিচ্ছে করোনা!
তবে শাপিরার মতে ভাইরাসের এই ছদ্মবেশ নেওয়াটা প্রকৃতির নিয়মের মধ্যেই পড়ে। অনেক প্রাণীই নিজেদের শক্তিশালী অন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যেমন ক্যামোফ্লেজের সাহায্য নিয়ে থাকে, এ ব্যাপারটাও ঠিক তাই! আর শুধু করোনাই নয়, জীবজগতের আরও অনেক ভাইরাসেরই রয়েছে এই রূপ বদলে ফেলার ক্ষমতা। করোনা মারাত্মক এ কারণেই যে তা আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে!
৭০০০ ভাইরাস এবং ৪০০০ হোস্ট বা রোগীর উপরে পরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন শাপিরা এবং তাঁর দল। তাঁর দাবিকেই সমর্থন করেছে এর আগে প্রকাশিত হওয়া অন্য সমীক্ষাও। যা বলছে যে অনেক রোগীরই ইমিউনিটি সিস্টেম করোনাভাইরাসকে চিনে উঠতে পারছে না, বরং তা তাকে সাহায্যই করছে। যার পরিণামে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর হারও!নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Immune Proteins