Exclusive: ইতালিতে হ্রাস পেয়েছে করোনা সংক্রমণের হার, ভারতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, আশা জাগালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
ইতালিতে রয়েছেন আমাদের রাজ্যের ছেলে তথা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের গবেষক সব্যসাচী সিদ্ধান্ত।
#ইতালিঃ রাস্তাঘাট শুনশান। অফিস যাওয়া অনিশ্চিত। কার্যত গৃহবন্দি অবস্থা। বাড়ি বসেই চলছে গবেষণার কাজ। ঠিক কি অবস্থা ইতালির? কেমন ভাবে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা? ইতালিতে রয়েছেন আমাদের রাজ্যের ছেলে তথা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের গবেষক সব্যসাচী সিদ্ধান্ত। ইতালি থেকে News18বাংলা'কে জানালেন ইতালির সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
ইতালিতে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্রিয় প্রশাসন। সব্যসাচী সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন, শেষ কয়েক সপ্তাহ যাবত ইতালির মানুষ গৃহবন্দি। ফলে আমরা সকলে বাড়ি থেকে কাজ করছি। কিছু মানুষ যারা আপতকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন পেশার তাগিদে। তবে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য অর্থাৎ ওষুধ , খাবারের কিছু দোকান খোলা। তবে সেখানে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানতে হচ্ছে। একসঙ্গে বহু লক কথাও যাওয়ার আনুমটি নেই। প্রয়োজনে বহু নিয়ম মেনে এবং প্রয়োজনীয় বিধি মেনে কথাও যেতে হচ্ছে। তবে, এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ। এমনকি বাড়িতে থাকলেও বার বাড় হাত ধোয়া, অন্যদের সংস্পর্শে না আসা। নানা বিধিনিষেধ রয়েছে।
advertisement

advertisement
তবে শুধু ইতালিতে নয়। সুইজারল্যান্ডের সার্ণ অরথান তাঁর গবেষণা ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কয়েকদিন আগে থেকে। সেখানে বর্তমানে তাঁর সহকর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন। গোটা সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সের আবস্থা কার্যত একইরকম। যেটা বর্তমানে খুবই জরুরি। আর তাঁর ফলে কমেছে সংক্রমণের হার। ইউরোপের দেশগুলিতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের হার ছিল ৩৫ শতাংশ, ১৫ দিন আগে তা কমে দাঁড়ায় ২২ শতাংশে, দিন চারেক আগে তা আর কমে হয়েছে ১৮ শতাংশ। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যেভাবে হ্রাস পেয়েছে, তাঁর মতে এটা ইতিবাচক লক্ষণ। তবে তা কতটা কমে আসছে বয়া কিভাবে কমে আসছে তা এখন স্পষ্ট নয়। যদিও সংক্রমণের হার হ্রাস পাওয়াই কাম্য।
advertisement

সব্যসাচী সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন, এই সংক্রমণ বৃদ্ধির হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ সচেতনতা। এবং অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা। তাঁর দাবি, ভারতের কাছে এখন বেশ কিছুটা সময় রয়েছে। তাঁর মানুষের সচেতনতা খুব জরুরি। উপসর্গ দেখা গেলে বা বিদেশে গেলে তাঁর বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো। তাঁর অনুরোধ প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বেরোবেন না। গুজব ছড়াবেন না। না। গুজবে কানও দেবেন না। এটা আমাদের দায়িত্ব।
advertisement
Location :
First Published :
March 20, 2020 8:47 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Exclusive: ইতালিতে হ্রাস পেয়েছে করোনা সংক্রমণের হার, ভারতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, আশা জাগালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী