বান্দ্রার জমায়েতে অশনি সঙ্কেত, ভয়াল সংক্রমণে ছারখার হতে পারে দেশ

Last Updated:

এমনিতেই করোনা মহারাষ্ট্রেক ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবারের এই জমায়েত যেন সেই আগুনেই ঘি।

#মুম্বই: যাবতীয় সরঞ্জাম বেঁধে আগের দিন রাতেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন রমেশ কুমার। ৩৩ বছর বয়সি এই রাজমিস্ত্রির পরিকল্পনা ছিল ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠলেই মুম্বই থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার। কিন্তু মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের কথা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই খবর চাউর হতেই রমেশের মতো প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক জড়ো হন বান্দ্রায়। অ্গ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, লাঠি চালিয়ে উন্মত্ত শ্র্মিকদের ছত্রভঙ্গ করতে হয় পুলিশকে। ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের উস্কানি দেওয়ার জন্যে বিনোদগ দুবে নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। দা্ঙ্গা বাধানোর অভিযোগে এফআইআর হয়েছে অন্তত এক হাজার জনের বিরুদ্ধে। এই লকডাউনের ফলে ঘরছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের যে সমস্যা হচ্ছে তা মেনে নিয়েই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মারাত্মক ভুল করা হয়েছে বান্দ্রায়। এর ফলে ইতালির আকার ধারণ করতে পারে মুম্বই।
স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রেনে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার যে দাবি ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা তুলেছেন, তা অবৈজ্ঞানিক। কারণ তাতে কোনও ভাবেই সামাজিক দূরত্ব রাখা সম্ভব হবে না। আর সামাজিক দূরত্ব ছাড়া করোনা দূরীকরণেরে আর কোনও দাওয়াই গোটা পৃথিবীর কাছেই এ যাবৎ অধরা। এতে তাঁরা তো সংক্রমিত হতে পারেনই, খালি হয়ে যেতে পারে গ্রামকে গ্রাম।
advertisement
advertisement
স্বাস্থ্য পরিদর্শকরাই বলছেন, করোনা মোকাবিলার কোনও পরিকাঠামোই এখনও গ্রামে নেই। এটা আশির্বাদ যে এখনও গ্রামীণ ভারতকে এই রোগের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫০০০০ ভেন্টিলেটর রয়েছে ভারতের হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্যে। এর সবটাই শহরে। ফলে গ্রামে যদি অতিমারী ছড়ায় তবে বহু লোককে বিনা চিকিৎসাতেই মরতে হতে পারে। অথচ সেই বিপদই ডেকে আনছিলেন এই পরিযায়ী শ্রমিকরা।
advertisement
শ্রমিকদের দাবি ছিল, ট্রেন চালানো হোক অবিলম্বে। তাদের সমস্যার দিকগুলি বিবেচ্য। কিন্তু প্রতিদিন ট্রেন না চালানোর ফলে ভারতীয় রেলের ক্ষতি হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। কাজেই পরিষেবা চালু করাই রেলের একমাত্র উদ্দেশ্য। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ট্রেন চালালে ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ ভয়াল জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই রেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
advertisement
এমনিতেই করোনা মহারাষ্ট্রেক ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবারের এই জমায়েত যেন সেই আগুনেই ঘি। এই অবস্থায় পুলিশ এক দিকে যেমন খতিয়ে দেখছে কোনও গুজবেই এই ঘটনা ঘটল কিনা, তেমনই অসহায় শ্রমিকের ভাতকাপড়ের দায়িত্ব নেবে প্রশাসন-আশা করছেন সমাজকর্মীরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
বান্দ্রার জমায়েতে অশনি সঙ্কেত, ভয়াল সংক্রমণে ছারখার হতে পারে দেশ
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement