পেটের দায়ে বাবা-মা গিয়েছিল দিল্লি, ফেরার পথে করোনা সংক্রামিত তাদের ৪ বছরের শিশু, লড়ছে জীবন-মরণ লড়াই
- Published by:Elina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
আক্রান্ত শিশুকে রায়গঞ্জ করোনা হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। বাবা-মা ছাড়া সঙ্গীহীন শিশু একাই মারন রোগের সাথে লড়াই চালাচ্ছে রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে।
#রায়গঞ্জ: পরিবারের সঙ্গে ভিন রাজ্যে গিয়ে করোনা জীবাণু বহন করে আনল চার বছর শিশু ৷ ইটাহার কর্মসূত্রে বাবা মা গিয়েছিল শ্রমিকের কাজে দিল্লিতে, সঙ্গে ছিল চার বছরের পুত্র সন্তান। সেই ছোট্ট চার বছরের শিশুর শরীরে মিলল ভয়াবহ মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের সন্ধান। আক্রান্ত শিশুকে রায়গঞ্জ করোনা হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। বাবা-মা ছাড়া সঙ্গীহীন শিশু একাই মারন রোগের সাথে লড়াই চালাচ্ছে রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার মারনাই গ্রাম পঞ্চায়েতের খিলভিল গ্রামের মতিউর রহমান তার ছোট্ট শিশু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিল্লীতে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই মারন করোনা রোগে আক্রান্ত হয় চার বছরের শিশু সন্তান।
গত ১২ মে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি ফেরে মতিউর রহমান। ১৪ মে তাদের প্রত্যেকের লালারস পরীক্ষা করা হয়। ২৩ মে জেলা প্রশাসনের হাতে রিপোর্ট হাতে এসে পৌছায়। মতিউর রহমান সহ পরিবারের প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও চার ছোট্ট শিশুর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চার বছরের শিশুর করোনা ধরা পড়ায় স্বাস্থ্যদফতরের তরফ থেকে তড়িঘড়ি তাকে করোনা হাসপাতালে আনা হয়। চার বছরের শিশু সন্তান একা হাসপাতালে থাকতে না পারার কারণে আক্রান্ত শিশুর মা তার সঙ্গে যায়।
advertisement
advertisement
চার বছরের শিশু করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় পরিবার বাবা ও তার এক দাদাকেও কোয়োরান্টাইন সেন্টারে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে,শিশুর শরীরে করোনা জীবানু আক্রান্ত হবার দশদিন অতিক্রান্ত হলেও শিশুটি সুস্থ আছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ছোট শিশুর শরীরে করোনা জীবাণু ধরা পড়ায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন থেকে ইটাহারের খিলভিল গ্রামের ওই এলাকাটি কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে এলাকাটি সীল করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
Uttam Paul
Location :
First Published :
May 24, 2020 7:21 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
পেটের দায়ে বাবা-মা গিয়েছিল দিল্লি, ফেরার পথে করোনা সংক্রামিত তাদের ৪ বছরের শিশু, লড়ছে জীবন-মরণ লড়াই