Cooch Behar: বন্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার, কাগজের ঠোঙা বানিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন!
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
কোচবিহার শহর জুড়ে বন্ধ হয়েছে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার! আর মূলত সে কারণেই ধুঁকতে থাকা কাগজের ঠোঙার চাহিদা আবার বাড়তে শুরু করেছে।
#কোচবিহার : কোচবিহার শহর জুড়ে বন্ধ হয়েছে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার! আর মূলত সে কারণেই ধুঁকতে থাকা কাগজের ঠোঙার চাহিদা আবার বাড়তে শুরু করেছে। তাই কাগজের ক্যারিব্যাগ বানিয়ে স্বনির্ভরতার মুখ দেখছেন কোচবিহার রাজারহাটের মহিলারা। কোচবিহার রাজারহাট এলাকায় গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ির মহিলারা এই কাগজের ঠোঙা বানানোর কাজ করছেন। বাড়ির সমস্ত কাজকর্ম ও হেঁশেল সামলে নিয়ে এই জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
advertisement
এমনই একজন কাগজের ঠোঙার কারিগর প্রতিমা বর্মন জানান, তারা দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর যাবৎ এই কাজ করে আসছেন। তবে এতদিন কাগজের ঠোঙার চাহিদা খুব একটা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ হওয়ার পর থেকে কাগজের ঠোঙার চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। তাই আয় ও বেড়েছে তাদের। সারাদিনে তারা যে কাগজের ঠোঙা বানান তা দিয়ে সংসার চলে তাদের।\"
advertisement
গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের বেশিরভাগ সময় দেখতে পাওয়া যায় কৃষিকাজ কিংবা বাড়ির কাজকর্ম করে সংসার জীবন কাটাতে। তবে বিকল্প আয়ের এই পথ বেছে নিয়ে তারা যেভাবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তা রীতিমত প্রশংসনীয়। মাঠে-ঘাটে গিয়ে কাজ করার থেকে বাড়িতে বসে সংসারের সমস্ত কাজ করার পাশাপাশি কাগজের ঠোঙা বানানো অনেকটাই সহজ। শারীরিক পরিশ্রম ও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।
advertisement
আর এক মহিলা জানকী বর্মন বলেন, \"সারা দিনে প্রায় পাঁচশোর মতন কাগজের ঠোঙা তৈরি করতে পারি আমরা। সংসারের সমস্ত কাজ করার পর। এভাবে কাগজের ঠোঙা বানিয়ে আমরা যে পয়সা উপার্জন করি তা দিয়ে বেশ ভালো মতো সংসার চলে আমাদের। প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিন না নিয়ে মাঝে মাঝে আমরা একমাস জমিয়ে টাকা নিয়ে থাকি। তারপরে বিশেষ অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে আমাদের দারুন সুবিধা হয়।\"এভাবে গ্রামীন এলাকার মহিলারা কাগজের ঠোঙা বানিয়ে যে বিকল্প আয়ের পথ বেছে নিয়েছেনএবং স্বনির্ভরতার মুখ দেখছেন।
advertisement
Sarthak Pandit
Location :
First Published :
August 30, 2022 6:10 PM IST