Kamteswari Temple: জাগ্রত কামতেশ্বরী মন্দির! এই মন্দির একবার চোখের দেখা দেখতে ছুটে আসেন বহু মানুষ!
- Reported by:SARTHAK PANDIT
- hyperlocal
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Kamteswari Temple: কামতেশ্বরী মন্দিরের প্রতিষ্ঠার রহস্য আজও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে সকলের কাছে।
দিনহাটা: কোচবিহার জেলার গোঁসানীমারী এলাকায় রাজ আমলের একটি ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের নাম কামতেশ্বরী মন্দির। কামতেশ্বরী মন্দিরেকে নিয়ে জেলার মানুষের মুখে মুখে নানান কথা প্রচলিত রয়েছে। তবে এই মন্দির প্রতিষ্ঠার রহস্য আজও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে সকলের মাঝে। এই মন্দিরটি এক রাতের মধ্যেই তৈরি হয়েছে এমনটাই কথা শুনতে পাওয়া যায়। এই মন্দিরটি বিশ্বকর্মা দেব নিজেই তৈরি করে দিয়েছিলেন বলেো লোক মুখে প্রচলিত। রাজা কামতেশ্বরকে মা এই মন্দিরটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। এই মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক কোনও ধারণা আজও নেই। কোচবিহারের রাজ আমলে এই মন্দিরের বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছিল। তবে আদতে কে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
মন্দিরে পুজো দিতে আসা এক ভক্ত মল্লিকা রায় জানান, “কামতেশ্বরী মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে কোনও প্রবেশ মূল্য দিতে হয় না। তবে এই মন্দিরে পুজো দিতে এবং ভোগ নিবেদন করতে সামান্য কিছু মূল্য প্রদান করতে হয়। এছাড়া এখানে দুপুরের মধ্যে দেবতাদের ভোগ নিবেদন করা সম্পন্ন করে প্রসাদ বিতরন সম্পন্ন করা হয়। সন্ধ্যার দিকে এই মন্দিরে কোন পুজো করা হয় না। ভোগ নিবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে মন্দিরের দেবতাদের মূর্তি ঢেকে দেওয়া হয়।” মন্দিরের আরেক ভক্ত প্রলয় কুমার রায় জানান, “এই মন্দিরের নিয়ম এবং রীতিনীতি অন্য বাকি সব মন্দিরের চাইতে একদম আলাদা। পরিবারের সঙ্গে ছুটির দিনে ঘুরতে আসতে পারেন কামতেশ্বরী মন্দিরে। এছাড়া এখানে পুজো দিলে সকল মনস্কামনা পূর্ণ হয়।”
advertisement
advertisement
এই মন্দিরের পূজারী পরিতোষ ঝা জানান, “খেন এবং কোচ রাজবংশ উভয়েই কামতেশ্বরী দেবীর উপাসক ছিলেন। তবে এটি এখন স্বীকৃত যে এই কামতেশ্বরী মন্দিরটির মূল মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তারপর বর্তমান মন্দিরটি কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা প্রাণ নারায়ণ ১৬৬৫ সালে সংস্কার করে তৈরি করেছিলেন। কামতেশ্বরী মন্দিরের অভ্যন্তরে দুটি শিব লিঙ্গ, একটি ব্রহ্মার মূর্তি, একটি শালগ্রাম বা নারায়ণ শিলা, অষ্টধাতু (আটটি ধাতুর মিশ্রণ) দিয়ে তৈরি একটি গোপাল মূর্তি এবং সূর্য দেবের একটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালে পাল যুগের আরেকটি সূর্যমূর্তি এবং মন্দিরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে পাল যুগের একটি বিষ্ণু মূর্তি রয়েছে। পরের দুটি মূর্তিই অন্য কোথাও থেকে এনে এই মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে আরেকটি শিবলিঙ্গ স্থাপিত রয়েছে।”
advertisement
Sarthak Pandit
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Aug 19, 2023 9:44 PM IST







