Flower Harvesting: জারবেরা এবং গাঁদা ফুল চাষে ব্যাপক টাকা আসবে! তবে কড়া নজর রাখুন পোকার আক্রমণে
- Published by:Uddalak B
- news18 bangla
Last Updated:
Flower Harvesting: মরশুমে এই দুই ফুল চাষের মধ্যে দিয়ে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা সম্ভব।
#মাথাভাঙা: দেখতে সুন্দর এবং বাজারে প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন একটি ফুলের নাম হল জারবেলা ফুল। এই ফুল চাষ করার মধ্য দিয়ে যে কোন ব্যক্তি আর্থিকভাবে অনেকটাই স্বনির্ভরতার মুখ দেখতে পারবেন। তবে এই ফুলের চাহিদা আরও কয়েক গুণ বেড়ে ওঠে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মরশুম গুলিতে।
এ ছাড়াও এই ফুল ঘর সাজানোর কাজেও লেগে থাকে। বর্তমান সময়ে এই ফুল চাষ করে আর্থিকভাবে লাভের মুখ দেখছেন কোচবিহার জেলার বহু চাষি। তবে এই ফুল দেখতে যেমনি সুন্দর তেমনি এর রোগ ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তাই কৃষকদের এই রোগব্যাধির সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হবে। তা না হলে এই ফুলের রোগব্যাধি শুরু হলে, এর থেকে প্রাপ্ত আর্থিক মুনাফার পরিমান অনেকটাই কমে আসবে।
advertisement
মাথাভাঙার এক জারবেরা ফুল চাষি সাগর পান্ডে জানান, "শীতকালের মরশুমে এই ফুলের খুব একটা বেশি রোগ দেখতে পাওয়া যায় ন। তবে গরমের মরশুম পড়তে শুরু করলেই।
advertisement
এই ফুলের রোগ ব্যাধি বাড়তে শুরু করে। এই ফুলের মূলত দু'ধরনের রোগ দেখতে পাওয়া যায়। একটি হল থ্রিবস্ এবং অন্যটি হল মাইট। থ্রিবস্ রোগের ক্ষেত্রে জারবেরা ফুল গাছের পাতা গুলি ধীরে-ধীরে কালো হয়ে যায় এবং কুঁকড়ে থাকে উপরের দিকে। এবং মাইট রোগের ক্ষেত্রে জারবেরা ফুল গাছের ফুলগুলির পাপড়ি সম্পুর্ণ খুলতে দেখা যায় না। এই দুই রোগ দেখা দিলে গাছের থেকে কমপক্ষে একমাস কোনরকম ফুল তোলা সম্ভব হয় না।"
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, এবার রাজ্যে আসছে ক্যাগ অডিটের বিশেষ দল
এ ছাড়াও অপর একটি লাভদায়ক ফুল চাষ হল গাঁদা ফুল চাষ। এই চাষ করার মধ্য দিয়েও অনেক মানুষ আর্থিকভাবে মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন। কোচবিহার জেলার বিভিন্ন ফুল চাষি এই গাঁদা ফুল চাষ করে থাকেন মরশুমের এই সময়টাতে। তবে এই ফুলের ক্ষেত্রেও রোগব্যাধি দেখতে পাওয়া যায়। মাথাভাঙার গাঁদা ফুল চাষী পিন্টু বর্মন বলেন, "এই ফুল চাষ করতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না এবং খাটনিও করতে হয় না। এবং এই ফুল চাষ করার মধ্য দিয়ে যে কোন মানুষ আর্থিক মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন। তবে এই গাঁদা ফুল গাছের ধ্বসা রোগ দেখতে পাওয়া যায়। এই রোগ হলে ফুলের গোঁড়া গুলি পচে যায়।"
advertisement
তবে এই দুই ফুল গাছের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করতে হবে। তা হলেই এই দুই গাছের রোগের থেকে মুক্তি মিলবে। এছাড়াও ফুল ফুটবে বেশ ভাল পরিমাণে। এবং কৃষক আর্থিকভাবে মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন। তবে এই দুই ফুল চাষের ক্ষেত্রেই কৃষি দফতরের সহায়তা নেওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন। তা না হলে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করতে সফল হবেন না কৃষকেরা। তবে জারবেরা ফুলের চাইতে গাঁদা ফুল গাছের রোগের পরিমাণ যথেষ্ট কম। তবে কৃষকদের এই রোগগুলোর উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।
advertisement
Sarthak Pandit
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
February 09, 2023 6:02 PM IST
