Old Lady Story: দেখে না সন্তান, ভাঙা ঘরে দিনে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে ৯০ বছরের বেশি বয়সি বৃদ্ধার
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Coochbehar Old Lady: প্রতিদিন ভিক্ষাবৃত্তি করে দুবেলা অন্নর যোগান করছেন তিনি। পরিবারের মানুষেরা তাকে কোনরকম সহায়তা করেন না। বর্তমানে তিনি ভাঙা ঘরে কোনরকমের দিনযাপন করছেন।
সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: ৯০ ঊর্ধ্ব বৃদ্ধা প্রমীলা বর্মনের চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে। প্রতিদিন ভিক্ষাবৃত্তি করে দুবেলা অন্ন সংস্থান করছেন তিনি। পরিবারের মানুষ তাঁর পাশে নেই। বর্তমানে তিনি ভাঙা ঘরে কোনওরকমে দিনযাপন করছেন। অভিযোগ, এই বিষয়গুলি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বার বার জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি।
বৃদ্ধার সহযোগিতায় স্থানীয় মানুষ এগিয়ে এসেছেন বার বার। দু’বেলা দু’মুঠো অন্নর যোগানও মাঝে মধ্যে করে থাকেন এই স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এই বয়সে এসেও কেন তিনি কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েতের ওপর।
বৃদ্ধা মহিলা প্রমীলা বর্মন জানান, "দীর্ঘ দিন ধরে এই চরম দুর্দশায় দিন কাটছে । বার বার এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানালেও কোনও রকম সাহায্য করেনি।" সরকারি সহায়তার ঘর এখনও পর্যন্ত পাননি তিনি। বর্তমানে তাই ভাঙা ঘরে কোনও রকমে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। শেষ বয়সে এসে তাঁর ইচ্ছে, মৃত্যুর আগে অন্তত মাথার উপর একটা পাকা সরকারি ঘর দেখে যাওয়া।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়বে না ব্লাড সুগার, মধুমেহ রোগীরা নির্ভয়ে খেতে পারবেন এই বিশেষ জয়নগরের মোয়া
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ হিসেবী বলেন, "এই বৃদ্ধার দুই ছেলে ছিল। এক ছেলে জয়পুরে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা যান। আর এক ছেলে বিয়ের পর বউকে নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তাই গোটা বাড়িতে বৃদ্ধাকে একাই থাকতে হয়। বাড়ির ও চরম দুর্দশা। ভাঙা ঘরে কোনওরকমে মাথা গুঁজে রয়েছেন তিনি।"
advertisement
তবে ৯০ ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধার এই বয়সে এসেও কেন চরম এই দুর্দশা সেই বিষয়ে কোনও রকম উত্তর দিতে পারেনি স্থানীয় পঞ্চায়েত। তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। তবে এই বৃদ্ধার এই চরম দুর্দশার দ্রুত অবসান ঘটুক, এই দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন : বাড়ি দোকান সব রয়েছে, পঞ্চায়েত প্রধানের বাবার নাম আবাস যোজনায়!
সরকারি প্রশাসনের কর্তারাও এখনও পর্যন্ত এই বৃদ্ধার কোনও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি। বৃদ্ধার কথায়, শেষ বয়সে এসে একটু নিশ্চিন্তে, একটু শান্তিতে দিন কাটাতে চান তিনি। এই বয়সে এসে ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটাতে খুবই কষ্ট করতে হয়। আর বয়স বেশি হওয়ার কারণে কেউ তাঁকে কাজ দেন না।
advertisement
বর্তমানে এই গোটা এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বৃদ্ধাকে কিছু সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হোক। যাতে শেষ বয়সে তিনি একটু শান্তিতে দিন কাটাতে পারেন।
view commentsLocation :
First Published :
December 17, 2022 12:07 PM IST