খুন না আত্মহত্যা ? কী দেখা গেল ভাটিয়াদের সিসিটিভি ফুটেজে ?

Last Updated:

প্রশ্ন অনেক ৷ উত্তরের খোঁজে হন্যে হচ্ছে পুলিশ ৷ ভাটিয়াদের আত্মীয়-পরিজন সকলেই দাবি করছেন, অতিপ্রাকৃতিতে বিশ্বাস করার কোনও লক্ষণই ছিল না ১১ জনের ওই পরিবারে ৷ সদ্য বিয়ে ঠিক হওয়া প্রিয়াঙ্কার বাগদত্ত যুবকও একই মতবাদ খাড়া করেছেন ৷

তখনও হাসি-খুশি ভাটিয়া পরিবার ৷ ছবি: নিউজ 18
তখনও হাসি-খুশি ভাটিয়া পরিবার ৷ ছবি: নিউজ 18
#নয়াদিল্লি: প্রশ্ন অনেক ৷ উত্তরের খোঁজে হন্যে হচ্ছে পুলিশ ৷ ভাটিয়াদের আত্মীয়-পরিজন সকলেই দাবি করছেন, অতিপ্রাকৃতিতে বিশ্বাস করার কোনও লক্ষণই ছিল না ১১ জনের ওই পরিবারে ৷ সদ্য বিয়ে ঠিক হওয়া প্রিয়াঙ্কার বাগদত্ত যুবকও একই মতবাদ খাড়া করেছেন ৷ প্রতিবেশীরা সকলেই জানিয়েছেন, ভাটিয়ারা ধর্মপ্রাণ হলেও সেই ধর্মবিশ্বাসে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি কোনওদিন ৷ আত্মীয়রাও বারবার খুনের তথ্যেই জোর দিতে চাইছেন ৷
কিন্তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে পুলিশ জানাচ্ছে, নয়াদিল্লির বুরারিতে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের থেকে বেশি আত্মহত্যার সম্ভাবনাই প্রকট হচ্ছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টও এই প্রমাণই দিয়েছে ৷ এমনকী কারও শরীরেরই আঘাত বা জোরজবরদস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়নি ৷
advertisement
আর সেই জন্যই দ্রুত সমাধান সূত্রে পৌঁছতে সিসিটিভি ফুটেজের উপর ভরসা রাখছে পুলিশ ৷ আগেই ভাটিয়া বাড়ির আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল দিল্লি পুলিশ ৷ কিন্তু সেখানে বেশিরভাগ সিসিটিভি খারাপ থাকায় ফুটেজ পাওয়া যায়নি ৷ শেষ পর্যন্ত একটি সিসিটিভি থেকে ফুটেজ পেতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা ৷ সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে-
advertisement
• রাত ১০টার ফুটেজে দেখা গিয়েছে ওই বাড়ির বড় ছেলে ভবনেশ ভাটিয়ার স্ত্রী সবিতা ও তাঁদের মেয়ে নীতু চারটি টুল বাড়িতে নিয়ে আসেন ৷ এই প্লাস্টিকের টুলগুলিই আত্মহত্যার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৷
• আবার রাত ১০:৩৫-এর ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ললিত ভাটিয়ার ছেলে শুভম বেলিভারি বয়ের থেকে খাবার নিচ্ছে ৷
advertisement
• এরপর আবার শুভমকে কাঠের দোকানে গিয়ে ইলেকট্রিকের তারের বান্ডিল নিয়ে আসতে দেখা যায় ৷ ১০:৩৯ নাগাদ সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠে সে ৷
• ১০:৫৭-তে পোশা কুকুর জ্যাকিকে নিয়ে বেরতে দেখা যায় ভবনেশকে ৷ ১১:০৪-এ ফিরে আসেন তিনি ৷ এরপরেই ছাদে নিয়ে গিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় জ্যাকিকে ৷
advertisement
এই সমস্ত ফুটেজগুলি দেখার পর আবারও আত্মহত্যার সম্ভাবনাই জোরাল হচ্ছে ৷
ভাটিয়া পরিবারের রহস্যময় ডায়রিতে ঠিক এই কাজগুলি করার নির্দেশই দেওয়া ছিল ৷ ওইদিন রাত ১০টায় বাইরে থেকে খাবার আনানোর নির্দেশ ছিল ৷ সেই মতো পাড়ার একটি খাবারের দোকানে ২০টি রুটির অর্ডার দেওয়া ছিল ৷ ঋষি নামে সেই দোকানের এক কর্মচারী রুটি পৌঁছে দিতে এসেছিল ভাটিয়াদের বাড়িতে ৷ সম্ভবত ঋষিই শেষবারের মতো ভাটিয়াদের জীবিত দেখেছিলেন ৷ তবে ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ভাটিয়াদের মধ্যে কোনও রকম অস্বাভিকতা তিনি দেখতে পাননি ৷
advertisement
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
খুন না আত্মহত্যা ? কী দেখা গেল ভাটিয়াদের সিসিটিভি ফুটেজে ?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement