মৃত বাবা তাঁদের বাঁচাবেন, বিশ্বাস করতেন ভাটিয়া পরিবারের ছোট ছেলে
Last Updated:
‘আসমান হিলেগি, ধরতি কাঁপেগি, উস ওয়াক্ত তুম ঘাবরানা মত ৷ মন্ত্র কা যপ বাড়া দেনা, ম্যয় আ কর উতর দুঙ্গা, অউর সবকো ভি উতরনে মে মদত কারুঙ্গা ৷’-এমনটাই লেখা ছিল সেই ডায়রিতে ৷ যে ডায়রির নোটে লেখা নির্দেশ হুবহু মেনে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল বুরারির ভাটিয়া পরিবার ৷
#নয়াদিল্লি: ‘আসমান হিলেগি, ধরতি কাঁপেগি, উস ওয়াক্ত তুম ঘাবরানা মত ৷ মন্ত্র কা যপ বাড়া দেনা, ম্যয় আ কর উতর দুঙ্গা, অউর সবকো ভি উতরনে মে মদত কারুঙ্গা ৷’-এমনটাই লেখা ছিল সেই ডায়রিতে ৷ যে ডায়রির নোটে লেখা নির্দেশ হুবহু মেনে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল বুরারির ভাটিয়া পরিবার ৷
ডায়রির লেখা এই কথাগুলি অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিয়েছিল ভাটিয়ারা ৷ তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত গুপ্ত সাধনা করতেন নারায়ণ দেবীর ছোট ছেলে ললিত ৷ ১০ বছর আগে মৃত বাবার সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ হত বলে জানিয়েছিলেন ললিত ৷ বাবা-ই তাঁকে মোক্ষ লাভের এই পথ বলে দিয়েছিলেন ৷ বাবার কথা বিশ্বাস করে শনিবার মধ্যরাতে চোখ, মুখ বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েছিল গোটা ভাটিয়া পরিবার ৷ প্রত্যেকেই ভেবেছিল শেষ মুহূর্তে হয়তো বাবা এসে বাঁচিয়ে দেবেন তাঁদের ৷
advertisement
advertisement
ওই পরিবারের প্রত্যেকের ফোনের কললিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ নিহতদের মোবাইলের সূত্র ধরে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷ মৃত কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ৷ ইন্টারনেটে তাঁরা কী দেখতেন সে ব্যাপারেও খোঁজ শুরু হয়েছে ৷ ভাটিয়াদের প্রতিবেশীরা সকলেই জানিয়েছেন ওই পরিবার ধার্মিক ছিল ৷ তবে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা তাঁরা লক্ষ্য করেননি ৷ কিন্তু হাতের লেখা নোটগুলি থেকে ভাটিয়ারা যে অতিপ্রাকৃতিতে বিশ্বাস করেছিলেন এবং অদ্ভুত এক ধরণের কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন তা মোটামুটি ভাবে পুলিশের কাছে স্পষ্ট ৷
advertisement
১১ জনের প্রাথমিক ময়না-তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, সকলেরই গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে। কারও শরীরে চোট-আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যা থেকে অনুমান, কেউ জোর করে তাঁদের গলায় ফাঁস দেয়নি।
যদিও ভাটিয়া পরিবারের এই মুহূর্তে জীবিত দুই সদস্য ছোট মেয়ে সুজাতা ও বড় ছেলে দীনেশের দাবি, খুনই করা হয়েছে সকলকে ৷ বিভ্রান্ত করতে পুলিশ এখন আত্মহত্যার ছক সাজাচ্ছে ৷ সুজাতার দাবি, বাড়িতে সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের মতোই পুজোআচ্চা হত। হনুমান চালিশা পাঠ হত। কিন্তু তাঁর ভাইয়েরা কেউ তন্ত্রমন্ত্র বা গুপ্তসাধনায় জড়িত ছিলেন না। তা হলে তিনি তা টের পেতেন। একই বক্তব্য দাদা দীনেশেরও ৷
advertisement
তবে কয়েকটি বিষয়ে ধন্দ কাটছে না পুলিশেরও ৷ যদি আত্মহত্যারই পরিকল্পনা থাকে তাহলে শনিবার রাতে দরজা খুলে রেখেছিলেন কেন ভাটিয়ারা ? কেনই বা মাত্র ১৪ দিন আগে মেয়ে প্রিয়ঙ্কার আশীর্বাদ অনুষ্ঠান করেছিলেন ঘটা করে ?
Location :
First Published :
July 03, 2018 12:51 PM IST