Fixed Deposit Vs Recurring Deposit: ফিক্সড ডিপোজিট না রেকারিং ডিপোজিট? কোনটা করলে বেশি লাভবান হবেন.....

Last Updated:

Fixed Deposit Vs Recurring Deposit: ফিক্সড ডিপোজিট না রেকারিং ডিপোজিট--- কোনটা বেশি ভালো?

#কলকাতা: অর্থ বিনিয়োগের অন্যতম দুই মাধ্যম হল-- ফিক্সড ডিপোজিট (FD) এবং রেকারিং ডিপোজিট (RD)। কারণ এই দুই ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি থাকে না। অর্থাৎ নিরাপদ, নিশ্চিত বিনিয়োগের কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় আসবে এই দুইয়ের কথাই। এই দুই মাধ্যমে বিনিয়োগের (Investment) প্রধান সুবিধাই হল, নির্দিষ্ট সময়সীমা পার করলে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ হাতে আসবে। আর তাতে ঝুঁকিও থাকবে না। তাই ইক্যুইটি-তে বিনিয়োগ করার থেকে ফিক্সড ডিপোজিট অথবা রেকারিং ডিপোজিটে বিনিয়োগ করা ভীষণই নিরাপদ। কারণ এই ধরনের ডিপোজিট মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত নয় আর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও হাতে এসে যায়।
যদিও ফিক্সড ডিপোজিট এবং রেকারিং ডিপোজিটে বিনিয়োগ করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর বিনিয়োগকারীর হাতে চলে আসে। কিন্তু এই দুই বিনিয়োগ মাধ্যমের তুলনা করা হলে দেখা যাবে যে, রেকারিংয়ের তুলনায় ফিক্সড ডিপোজিট থেকেই উচ্চ আয় বা উচ্চ লাভ সম্ভব। ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে নিশ্চিত লাভ, নমনীয় মেয়াদ এবং লোনের সুবিধা তো থাকেই, সেই সঙ্গে কিছু কিছু ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাও ভোগ করতে পারবেন।
advertisement
advertisement
ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) কী?
ফিক্সড ডিপোজিট (FD) নাম থেকেই বোঝা যায় যে, এই ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ নির্দিষ্ট করা থাকে। সেই সঙ্গে এর থেকে প্রাপ্ত সুদের অঙ্কও নির্দিষ্ট থাকে। বিনিয়োগের প্রথমেই শুধুমাত্র অর্থরাশি জমা করতে হয়। আর বিনিয়োগের মেয়াদ বা সময়সীমা হয়, মূলত ৭ দিন থেকে ১০ বছর, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ২০ বছরও হতে পারে। ফিক্সড ডিপোজিটের জন্য আলাদা করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, এর কোনও মানে নেই। কারণ বিনিয়োগকারীর সেভিংস অ্যাকাউন্টের সঙ্গেই ফিক্সড ডিপোজিট যুক্ত থাকতে পারে।
advertisement
রেকারিং ডিপোজিট (Recurring Deposit) কী?
নিরাপদ বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম হল-- রেকারিং ডিপোজিট (RD)। যেখানে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থরাশি জমা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সুদের হার নির্দিষ্ট করা থাকে এবং এই হার রেকারিং ডিপোজিটের সম্পূর্ণ মেয়াদে পরিবর্তন হয় না। সাধারণত রেকারিং ডিপোজিটের মেয়াদ ৬ মাস থেকে ১০ বছর হতে পারে।
advertisement
ফিক্সড ডিপোজিট না রেকারিং ডিপোজিট--- কোনটা বেশি ভালো?
ধরা যাক, কারওর হাতে প্রচুর পরিমাণ অর্থরাশি বা থোক টাকা নেই, অথচ স্বল্প পরিমাণ অর্থের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর রেকারিং ডিপোজিটের অপশন বেছে নেওয়া উচিত। প্রতি মাসে স্বল্প এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থরাশি জমা করে যেতে হবে এবং বিনিয়োগের সময়সীমা শেষ হলে তিনি সুদ-সহ যে পরিমাণ অর্থ লাভ করবেন, সেটা তাঁর লিঙ্ক করা সেভিংস অথবা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে।
advertisement
কিন্তু যখন কোনও ব্যক্তির হাতে বড় অঙ্কের অর্থরাশি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের অপশন বেছে নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আবার এক চক্রে লাভ করা সুদ বিনিয়োগকারীর লিঙ্ক করা অ্যাকাউন্টে ঢুকবে না। বিনিয়োগের প্রথম অর্থরাশি-সহ সেটা আবার পুর্নবিনিয়োগ হয়ে যাবে। এর ফলে পরের চক্রে আসল তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে সুদও অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। ফলে এই ধরনের বিনিয়োগ থেকে আয়ও ভালোই হবে।
advertisement
ফিক্সড ডিপোজিট ও রেকারিং ডিপোজিটের তুলনা--
বিনিয়োগে অর্থের পরিমাণ:
কোনও ব্যক্তি যদি বিশাল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে চান, সে ক্ষেত্রে ভালো মাধ্যম হল-- ফিক্সড ডিপোজিট। যে কোনও ব্যাঙ্ক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেই এই সুবিধা পাওয়া যায়।
অন্য দিক, কোনও ব্যক্তি যদি প্রতি মাসে স্বল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে চান, সে ক্ষেত্রে রেকারিং ডিপোজিট হবে ভালো মাধ্যম। এই সুবিধাও যে কোনও ব্যাঙ্ক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যাবে।
advertisement
বিনিয়োগের মেয়াদ বা সময়সীমা: 
ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ হয়, সাধারণত ৭ দিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। এ বার বিনিয়োগকারী কত মেয়াদে বিনিয়োগ করতে চান, সেটা তো তাঁর উপরই নির্ভর করবে।
রেকারিং ডিপোজিটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ মেয়াদ হয়, সাধারণত ৬ মাস থেকে ১০ বছর। কত মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ হবে, সেটা বিনিয়োগকারীই বেছে নেবেন।
সুদের পরিমাণ:
ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে যে পরিমাণ সুদ পাওয়া যায়, তা রেকারিং ডিপোজিটের মেয়াদ শেষে প্রাপ্ত সুদের পরিমাণের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
লোনের সুবিধা:
ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী লোনের সুবিধাও পেতে পারেন। লোনের পরিমাণ এক রকম না-ও হতে পারে, তবে লোনের সর্বোচ্চ সীমা ফিক্সড ডিপোজিটের মূল্যের ৯০ শতাংশ হতে পারে।
আবার অন্য দিকে, রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রেও লোনের সুবিধা মিলতে পারে। জমা করা অর্থরাশির পরিমাণের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত লোনের সর্বোচ্চ সীমা হতে পারে। 
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
বিনিয়োগকারী যদি অবশিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে চান, সে ক্ষেত্রে তিনি সেই অর্থ ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করতে পারেন। আর তার ফলে তিনি সেই বিনিয়োগ থেকে সুদ হিসেবে ভালো আয়ও করতে পারবেন।
অন্য দিকে, রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থরাশি জমা করে যেতে হয়। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কোনও ব্যক্তির মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যেস গড়ে উঠবে।
সমস্যার বিষয়:
ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী প্রথমেই একটা বড় পরিমাণ অর্থরাশি বা থোক টাকা জমা করে দেন। এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা জমা করার মাথাব্যথা থাকে না।
আবার অন্য দিকে, রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে এই ধরনের মাথাব্যথা থাকবে। কারণ পর পর ৬ মাসে যদি কিস্তির নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগকারী রেকারিং ডিপোজিটে জমা করতে না-পারেন, তা হলে ব্যাঙ্ক তাঁর ওই রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Fixed Deposit Vs Recurring Deposit: ফিক্সড ডিপোজিট না রেকারিং ডিপোজিট? কোনটা করলে বেশি লাভবান হবেন.....
Next Article
advertisement
Cyclone Montha Update: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-র ল্যান্ডফল কোথায়? এর প্রভাব বাংলায় কী পড়তে পারে, জেনে নিন
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-র ল্যান্ডফল কোথায়? এর প্রভাব বাংলায় কী পড়তে পারে, জেনে নিন
  • শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-র ল্যান্ডফল কোথায়?

  • এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে কেমন পড়তে পারে?

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement