প্রি-অ্যাপ্রুভড লোন। কিছু বিষয় যথাযথ থাকলেই খুব সহজে আপনার ঋণপ্রদানকারী সংস্থা থেকে পেয়ে যেতে পারেন এই লোন। এ জন্য আপনাকে গুচ্ছ কাগজপত্র জমা করার ঝক্কি পোহাতে হবে না। জমা করতে হবে না কোনও সিকিওরিটি। এর পাশাপাশি সহজেই ইএমআই-এর মাধ্যমে করতে পারবেন রিপেমেন্ট। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কী এই প্রি-অ্যাপ্রুভড লোন?
এ বিষয়ে পয়সাবাজারের আনসিকিওরড লোনের ডিরেক্টর গৌরব আগরওয়াল জানাচ্ছেন, আপনি যদি আগে থেকেই কোনও ঋণপ্রদানকারী সংস্থার গ্রাহক হন, তা হলে এই লোন পেতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। আপনার ক্রেডিট স্কোর, মাসিক আয়, এমপ্লয়ি প্রোফাইল, রিপেমেন্ট হিস্টরি, ঠিকঠাক ডিপোজিট অ্যামাউন্ট, অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স-সহ একাধিক বিষয়গুলি দেখে একটা প্রোফাইল তৈরি করে ফেলে ঋণদাতা সংস্থাগুলি। এর পর লোনের শর্তাবলীর সঙ্গে গ্রাহকের ক্রেডিট প্রোফাইল ম্যাচ করলেই প্রি-অ্যাপ্রুভড লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা থাকে না। অর্থাৎ প্রি-অ্যাপ্রুভড লোন দেওয়ার আগে ঋণদাতা সংস্থাগুলি সাবস্টেনশিয়াল ক্রেডিটের বিষয়টি হিসেব করে নেন।
প্রি-অ্যাপ্রুভড লোন পাওয়া বা তা অনুমোদনের বিষয়টিও বিরাট জটিল নয়। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাঙ্কিং, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ে সক্রিয় থাকতে হবে গ্রাহকদের। এবং ঋণদাতা সংস্থার দ্বারা এসএমএসে পাঠানো প্রয়োজনীয় লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করে লোন সংক্রান্ত তথ্য ও বিষয়গুলির উপর নজর রাখতে হবে। তার পর সামান্য কিছু অফিসিয়াল প্রসেস থাকে। আর সহজেই লোনে অনুমোদন পাওয়া যায়।
প্রি-অ্যাপ্রুভড লোন পেতে এই বিষয়গুলির উপর নজর দিন:
দ্রুত পেয়ে যেতে পারেন লোন
যদি আপনি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের গ্রাহক হন অর্থাৎ ওই ব্যাঙ্কে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকে, তা হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে প্রি-অ্যাপ্রুভড লোনের টাকা।
মিনিমাম ডকুমেন্টেশন
ব্যাঙ্কবাজার জানাচ্ছে, এই প্রি-অ্যাপ্রুভড লোন পেতে আপনাকে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হবে না। লোনের অনুমোদনের ক্ষেত্রে কাগজপত্র জমা দেওয়া কিংবা এই জাতীয় কোনও জটিল প্রক্রিয়া নেই । সামান্য কিছু ব্যাঙ্ক-সংক্রান্ত কাজ মিটিয়ে ফেললেই আপনার লোন নিশ্চিত।
কোনও সিকিওরিটির প্রয়োজন নেই
এই লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম সিকিওরিটি মানি দিতে হবে না ঋণগ্রহীতাদের। জমানত ছাড়াই পেয়ে যেতে পারেন লোন।
রিপেমেন্টের সুবিধা
ইএমআই-র মাধ্যমেই ঋণগ্রহীতারা এই প্রি-অ্যাপ্রুভড লোনের টাকা মেটাতে পারেন। যদি ঋণপ্রদানকারী ব্যাঙ্কে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থাকে, তা হলে তিনি অটো ডেবিট ফেসিলিটিও বেছে নিতে পারেন। ব্যাঙ্কবাজার জানাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে রিপেমেন্টের মেয়াদ হল এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত।