#নয়াদিল্লি: ২০২০ সালে করোনা আছড়ে পড়ে দেশে। তারপর থেকেই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন। কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। মাস মাইনেতে কোপ পড়েছে অসংখ্য বেতনভোগী কর্মচারীর। কোপ পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পেটেও। অথচ জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হু-হু করে। এই রকম টালমাটাল পরিস্থিতিতে ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022-23) পেশ করবেন নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।
ভারতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি পরিযায়ী শ্রমিক। এঁরা তরুণ এবং উদ্যমী। নিজেদের রাজ্য ছেড়ে কাজের খোঁজে গোটা দেশে ঘুরে বেড়ান পরিযায়ী শ্রমিকরা। ভারতীয় অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। সঙ্গে আছে এমএসএমই সেক্টর। জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশ আসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে। কিন্তু করোনায় এই দুটি ক্ষেত্রই প্রায় ধ্বসে গিয়েছে। বেকার হয়ে গিয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ
যে কোনও আর্থিক সহায়তা বা বড় বিনিয়োগের ঘোষণা দেশের অর্থনীতির সংস্কার করতে পারবে না, যতক্ষণ অবধি সাধারণ জনগণের জন্য কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা না করা হচ্ছে। দেশের একটি বড় অংশের জনসংখ্যার জীবনই স্বল্প আয়ের উপর অতিবাহিত হয়। যতক্ষণ গ্রাহকের চাহিদা বাড়বে না, ততক্ষণ উন্নয়নের ইঞ্জিনও চালু হবে না। এদিকে, আয় কম হলে, বাজারে চাহিদা বাড়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে পিএলআই স্কিমে জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ জন্য চাকরি সৃষ্টি করে এমন ১৩টি সেক্টরকে বেছে নিয়ে তাদের ভাতা দেওয়ার কথা বলছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: করোনায় ‘বহি খাতা’ বাদ, হচ্ছে না হালুয়া সেরিমনি, এবারও ‘পেপারলেস’ বাজেট নির্মলার
খেলনা শিল্পে সম্ভাবনা
সুলভে জমি, কম সুদে ব্যাঙ্ক ঋণ এবং প্রয়োজন মতো শ্রম আইন সংশোধন হলে খেলনা শিল্পে বিপুল সম্ভাবনা আছে ভারতে। এই সমস্ত সেক্টর থেকে প্রচুর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অদক্ষ শ্রমিকদের কাছে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। খেলনার প্রতি দশ লক্ষ বিক্রিতে ১০০০ কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ রয়েছে। তাই সরকারকে এই সেক্টরে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে কৃষি নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্র? পড়ুন বিস্তারিত...
তাঁরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে খেলনা শিল্প থেকে ১৪০০ থেকে ২১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া উচিত সরকারের। তাহলে আগামী ২ থেকে ৩ বছরে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।
মেট্রো থেকে দূরে
উন্নয়নের নামে মেট্রো তৈরির কমফর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সরকারকে। পরিবর্তে পিছিয়ে পড়ার রাজ্যগুলির সার্বিক মানোন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। বিশেষত পশ্চিমাঞ্চলীয় প্যাকেজের মতো নতুন কিছু ভাবতে হবে সরকারকে। যাতে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: MSME, Union Budget 2022