কম সুদের জন্য হোম লোন সুইচিং বা রি-ফিনান্সের আগে নজর দিন এই বিষয়গুলিতে...

Last Updated:

হোম লোনে অল্প সুদের হারের হেরফেরে অর্থাৎ মাত্র ০.৭৫ শতাংশ সুদের হার ওঠা-নামাতেই অনেকটা টাকা বাঁচতে পারে। তাই এই সুদের হার দেখেই অনেকে তাঁদের হোম লোন সুইচিং বা রি-ফিনান্সের কথা ভাবেন।

#নয়াদিল্লি: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৬.৯-৯ শতাংশ সুদের হারের মধ্যেই হোম লোন দিয়ে থাকে ব্যাঙ্কগুলি। আর সেই সূত্রে অনেকেই তাঁদের হোম লোন সেই ব্যাঙ্ক থেকে নিতে চান যেখানে সুদের হার সবচেয়ে কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, হোম লোনে অল্প সুদের হারের হেরফেরে অর্থাৎ মাত্র ০.৭৫ শতাংশ সুদের হার ওঠা-নামাতেই অনেকটা টাকা বাঁচতে পারে। তাই এই সুদের হার দেখেই অনেকে তাঁদের হোম লোন সুইচিং বা রি-ফিনান্সের কথা ভাবেন। কিন্তু তার আগে কয়েকটি বিষয়ে একটু নজর দেওয়া জরুরি। আসুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক কম সুদের হারে হোম লোনের বিষয়টি।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, একজন ঋণগ্রহীতা ১৫ বছরের সময়কালে ৫,০০,০০০ টাকার লোন নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণদাতা সংস্থার কাছে তাঁর লোনে সুদের হার ৭.৪ শতাংশ। এ বার কম সুদে সেই লোন রি-ফিনান্স করা হল। এ ক্ষেত্রে সুদের হার হল ৬.৯০ শতাংশ। প্রায় ৫০ bps জন্য কমল সুদল হার। অর্থাৎ ঋণগ্রহীতা সব মিলিয়ে ২.৫ লক্ষ টাকারও বেশি বাঁচাতে পারেন। তবে এই রি-ফিনান্সের ক্ষেত্রে কিন্তু স্ট্যাম্প ডিউটি, প্রসেসিং ফি-সহ অন্যান্য একাধিক চার্জ লাগে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে একটু সময়ও লাগে। যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ও লোন সংক্রান্ত বিষয়গুলি ভালো করে খতিয়ে দেখে লোন সুইচিং করা হয়, তা হলে ঋণগ্রহীতাদের কাছে লাভজনক হতে পারে এটি। তবে মাথায় রাখতে হবে, এই রি-ফিনান্স বা লোন সুইচিংয়ের বিষয়টি তাঁদের ক্ষেত্রেই লাভজনক, যাঁদের লোনের সময়কাল বেশি।  
advertisement
এ ক্ষেত্রে লোন রি-ফিনান্সের জন্য প্রথমে নতুন ঋণদাতা সংস্থার কাছে আবেদন জানাতে হয় ঋণগ্রহীতাদের। এর পর পুরনো ব্যাঙ্কের অনুমতি পত্র, লোন অ্যামাউন্ট-সহ একাধিক প্রয়োজনীয় নথি-পত্র জমা দিতে হয়। এ বার নতুন ঋণদাতা সংস্থায় আবেদন প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়। একটি স্যাংশন লেটার বা অনুমোদন পত্র ইস্যু করা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি হতে প্রায় ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
advertisement
advertisement
এ বার লোন অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট-সহ সমস্ত তথ্য নতুন ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দেওয়ার পালা। এই পর্যায়ে আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিয়ে নেয় ব্যাঙ্ক ও ফিনান্স কোম্পানিগুলি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই ফাঁকে পুরনো ব্যাঙ্ক থেকে ফোরক্লোজার লেটারের জন্য আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এ বার নতুন ঋণদাতা সংস্থা সম্পত্তি সম্পর্কে যাবতীয় নথি-পত্রের জন্য জিজ্ঞাসা করতে পারেন ঋণগ্রহীতাকে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে পুরনো ঋণদাতার নামে একটি চেক ইস্যু করেন নতুন ঋণদাতা সংস্থা।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
কম সুদের জন্য হোম লোন সুইচিং বা রি-ফিনান্সের আগে নজর দিন এই বিষয়গুলিতে...
Next Article
advertisement
'আমি শিবভক্ত, সব বিষ গিলে নিই...', অসমের জনসভায় বললেন মোদি, তাঁর 'রিমোট কন্ট্রোল' কে? চিনিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী!
'আমি শিবভক্ত, সব বিষ গিলে নিই...', 'রিমোট কন্ট্রোল' কে? অসমের জনসভায় চিনিয়ে দিলেন মোদি
  • অসমের জনসভায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • মোদি বলেন, জনগণই তাঁর আসল প্রভু এবং তাঁর ও ‘রিমোট কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রক’

  • অসমের দরং ও গোলাঘাটে ১৮,৫৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন

VIEW MORE
advertisement
advertisement