সোনা ছেড়ে রুপোর দিকে ঝুঁকছিলেন? ১ সেপ্টেম্বর নতুন নিয়ম... দাম বাড়বে? দেখে নিন এক নজরে

Last Updated:

রুপোর হলমার্কিংয়ের ফলে ক্রেতাদের এর বিশুদ্ধতা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ থাকবে না। জুয়েলারদের প্রতি তাদের আস্থা বাড়বে। গ্রাহকরা এখন হলমার্ক দেখেই রুপোর নূপুর, চেন, আংটি, পায়ের আংটি ইত্যাদি কিনতে পারবেন।

News18
News18
মূল্যবান ধাতুর কথা বললেই আমাদের মাথায় সবার আগে সোনার কথাই ভেসে ওঠে। সোনার চেয়ে মূল্যবান ধাতু যে নেই, এমনটা নয়। কিন্তু সোনার সঙ্গে মিশে রয়েছে শতাব্দীবাহিত এক ধারাবাহিকতা, ঐতিহ্যগত দিক থেকে সমর্থিত বলেই এই হলুদ ধাতু নিয়ে এত মাতামাতি। তবে, রুপোও ভারতীয় সংস্কৃতিতে যথেষ্ট জনপ্রিয়। ধনতেরসে সোনার পাশাপাশি রুপো কেনার প্রচলনই সে কথার প্রমাণ দেয়। যদিও রুপোর গুণমান, বিশেষ করে গয়নার ক্ষেত্রে একটি গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দেয়। তা হল এর বিশুদ্ধতা। বাজারে যে রুপোর গয়না পাওয়া যাচ্ছে, তা স্টারলিং সিলভার না আসল রুপো, সে নিয়ে ক্রেতার মনে খটকা থেকেই যায়, সব সময়ে দোকান আসল তথ্য দেয় না।
কেন্দ্রীয় সরকার এবার রুপোর গয়নার বিশুদ্ধতা সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে রুপোর গয়নার উপর হলমার্কিংয়ের নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে, প্রাথমিক পর্যায়ে এই নিয়ম স্বেচ্ছামূলক হবে, অর্থাৎ গ্রাহকরা চাইলে হলমার্কযুক্ত গয়না কিনতে পারবেন অথবা হলমার্ক ছাড়াই গয়না বেছে নিতে পারবেন। সামগ্রিকভাবে, এটি বাধ্যতামূলক হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে মানুষ ধীরে ধীরে হলমার্কযুক্ত রুপোর উপরে আরও আস্থা দেখাবে।
advertisement
এই হলমার্কিং প্রক্রিয়াটি সোনার গয়নার জন্য আগে শুরু হওয়া হলমার্কিংয়ের মতোই হবে । ভারতীয় মানক ব্যুরো (BIS) কর্তৃক বাস্তবায়িত এই নতুন নিয়মগুলি গ্রাহকদের জন্য রুপোর গহনার বিশুদ্ধতা এবং গুণমান শনাক্ত করা আরও সহজ করে তুলবে। এই নতুন নিয়মগুলি নকল এবং জাল গয়নার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। এর পাশাপাশি, গ্রাহকরা খাঁটি এবং মানসম্পন্ন গয়না পেতে সক্ষম হবেন।
advertisement
advertisement
হলমার্কিং কেন গুরুত্বপূর্ণ তা জানা দরকার
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হলমার্কিং মানে ধাতুর বিশুদ্ধতা প্রমাণ করা। BIS ল্যাবে পরীক্ষার পর গ্রাহকরা নিশ্চিত হবেন যে তাঁরা যে গয়না কিনছেন তা সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। গ্রাহকরা অনুভব করবেন যে তাঁরা ভুল জায়গায় বা নকল গয়নার জন্য অর্থ প্রদান করছেন না।
রুপোয় ৬টি নতুন হলমার্ক থাকবে
ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুসারে, রুপোর বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার জন্য ভারতীয় মানক ব্যুরো কর্তৃক ৬টি মানদণ্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এই মানদণ্ডের মাধ্যমে রুপোর কত শতাংশ বিশুদ্ধ তা জানা সম্ভব হবে। নতুন ব্যবস্থার অধীনে BIS রুপোর জন্য মোট ছয়টি বিশুদ্ধতা স্তর নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৯০০, ৮০০, ৮৩৫, ৯২৫, ৯৭০ এবং ৯৯০ স্তর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একে একে জেনে নেওয়া যাক প্রতিটি স্তরের অর্থ কী!
advertisement
বিশুদ্ধতা স্তর ১ – ৯৯০ সংখ্যা
যদি কোনও রুপোর গয়নায় ৯০০ সংখ্যা লেখা থাকে, তাহলে এর অর্থ হল এটি রুপোর সবচেয়ে বিশুদ্ধ রূপ। এই সংখ্যার অর্থ হল রুপো ৯৯ শতাংশ খাঁটি। এই রুপোকে সূক্ষ্ম রুপোও বলা হয়। এই রুপো বার বা মুদ্রার আকারে ব্যবহৃত হয়। এটি খুবই নরম, তাই এটি গয়না তৈরিতে খুব কমই ব্যবহৃত হয়।
advertisement
বিশুদ্ধতা স্তর ২ – ৯৭০ সংখ্যা
যদি কোনও রুপোর গয়নায় ৯৭০ সংখ্যা লেখা থাকে, তাহলে এর অর্থ হল এই গয়নাটি ৯৭ শতাংশ খাঁটি। এই রুপো গয়না এবং বাসনপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বিশুদ্ধতা স্তর ৩ – ৯২৫ সংখ্যা
এই সংখ্যার অর্থ হল রুপোটি ৯২.৫% খাঁটি। এই রুপোকে স্টারলিং রুপোও বলা হয়। এই রুপো গয়না তৈরির জন্য ভাল বলে বিবেচিত হয়।
advertisement
বিশুদ্ধতা স্তর ৪ – ৯০০ সংখ্যা
যখন কোনও রুপোর গয়নায় ৯০০ সংখ্যা লেখা থাকে, তখন বিশ্বাস করা যায় যে রুপোটি ৯০ শতাংশ খাঁটি। এই ধরনের রুপো কিছু গয়না এবং মুদ্রায় ব্যবহৃত হয়।
বিশুদ্ধতা স্তর ৫ – ৮৩৫ সংখ্যা
এই সংখ্যার অর্থ হল রুপোর বিশুদ্ধতা ৮৩.৫ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে, যদি রুপোর গয়নার উপর ৮৩৫ নম্বর লেখা থাকে, তাহলে সহজেই বোঝা যাবে এটি কত শতাংশ বিশুদ্ধ।
advertisement
বিশুদ্ধতা স্তর ৬ – ৮০০ সংখ্যা
যদি কোনও রুপোর গয়নায় ৮০০ সংখ্যা লেখা থাকে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে রুপোটি ৮০% খাঁটি। এতে তামার মতো অন্যান্য উপকরণের পরিমাণ মাত্র ২০%।
রুপোর হলমার্কিংয়ের সুবিধা
রুপোর হলমার্কিংয়ের ফলে ক্রেতাদের এর বিশুদ্ধতা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ থাকবে না। জুয়েলারদের প্রতি তাদের আস্থা বাড়বে। গ্রাহকরা এখন হলমার্ক দেখেই রুপোর নূপুর, চেন, আংটি, পায়ের আংটি ইত্যাদি কিনতে পারবেন। এর ফলে নকল গয়নার বিক্রয় রোধ হবে। এর পাশাপাশি গয়না শিল্পে স্বচ্ছতাও বৃদ্ধি পাবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
সোনা ছেড়ে রুপোর দিকে ঝুঁকছিলেন? ১ সেপ্টেম্বর নতুন নিয়ম... দাম বাড়বে? দেখে নিন এক নজরে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement