Money Making Tips: বাগানজুড়ে দামি ফল চাষ করে লাখপতি মিউজিশিয়ান, জানুন

Last Updated:

Money Making Tips: গোটা বাগান জুড়ে প্রায় ২০০ এর বেশি গাছ, দামি এই ফল চাষ করে লাখপতি মিউজিশিয়ান, জানুন।

+
ড্রাগন

ড্রাগন চাষ

পশ্চিম মেদিনীপুর: তিনি এক সময় ছিলেন মিউজিশিয়ান, সঙ্গীতই ছিল তার পেশা, এছাড়াও তিনি ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। তবে করোনার সময় লকডাউনের কারণে ঘরবন্দি অবস্থা সকলের। সেই সময় ইউটিউব এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখে শুরু করেন এই চাষ। বিদেশি এই চাষ হলেও ধীরে ধীরে ভারতের বাজার ছেয়ে গিয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে এক দুটো গাছ লাগানো হলেও বাণিজ্যিকভাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। একদিকে যেমন ফলের পুষ্টিগুণ অনেক তেমনি বাজারেও রয়েছে ভালো দাম। স্বাভাবিকভাবে মাত্র একটি প্রজাতি দিয়ে শুরু করা এখন এই ব্যক্তির বাগানে রয়েছে প্রায় শতাধিক ভ্যারাইটির গাছ।
স্বাভাবিকভাবে প্রতিবছর একটি গাছ থেকে একাধিকবার ফলন ফলিয়ে মিলছে লাখ টাকারও বেশি। অন্যদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। ড্রাগন, বর্তমান বাজারে এক পরিচিত নাম। বেশ কয়েক বছর ধরে বিদেশি এই ফল চাষ হচ্ছে ভারতের মাটিতে। তবে এক ব্যক্তি করোনার সময় থেকে শুরু করেছেন ড্রাগনের চাষ। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বেশ কয়েকটি জায়গাতে প্রায় শতাধিক প্রজাতির ড্রাগনের চাষ করে বছরে বেশ ভালো উপার্জন হচ্ছে তার। তার কাছে রয়েছে প্রায় একশোরও বেশি দেশীয় ও বিদেশি প্রজাতির ড্রাগনের গাছ। শুধু তাই নয় বাগান জুড়ে রয়েছে দুই শতাধিক চারা। প্রতি মাসেই মিলছে ফলন। বছরে প্রায় ছয় বারেরও বেশি ফল হয়, স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিক্রি হয় বড় বাজারগুলিতে।
advertisement
advertisement
যার থেকে সামান্য পরিচর্যা এবং খরচে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা আয় হয় প্রতি মরশুমে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের খাকুড়দা এলাকার বাসিন্দা পবিত্র মাইতি। যিনি এককালে ছিলেন ইলেকট্রিশিয়ান, ছিলেন মিউজিশিয়ানও। করোনার সময় একটিমাত্র প্রজাতি দিয়ে তিনি শুরু করেন এই ড্রাগন ফলের চাষ। মূলত মাচা বাঁধা এবং গাছ লাগানোর সময় খরচ একটু বেশি, এবং সারা মৌসুমে সামান্য খরচ ড্রাগন চাষে। ফের নভেম্বরের দিকে পরিষ্কার এবং সাময়িক পরিচর্যায় প্রতিবছর প্রায় ছয় থেকে সাত বার পাওয়া যায় ফলন। প্রতিবারে প্রতিটি গাছ থেকে কমপক্ষে চার কেজিরও বেশি ফলন পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবে একটি মৌসুমে সর্বমোট খরচ প্রায় ২ লক্ষ টাকা। সেক্ষেত্রে বাজারে ন্যূনতম দামে বিক্রি হলেও প্রতিটি মরশুমে আয় হয় প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। স্বাভাবিকভাবে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ পাওয়া যায় এই ড্রাগনের চাষ করে।
advertisement
তার এই বাগানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, বাংলাদেশসহ ভারতের একাধিক প্রজাতির ড্রাগনের গাছ। রয়েছে ইসরাইল ইয়োলো ড্রাগনও, যা অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন ড্রাগন। স্বাভাবিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুপ্রাণিত হয়ে, এই ব্যক্তি গড়ে তুলেছেন আস্ত একটি বাগান। নিয়মিত পরিচর্যা এবং সামান্য খরচে প্রতি বছর মিলছে লাখ লাখ টাকা আয়। যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা।
advertisement
 রঞ্জন চন্দ 
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money Making Tips: বাগানজুড়ে দামি ফল চাষ করে লাখপতি মিউজিশিয়ান, জানুন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement