Mutual Fund: রেকর্ড উচ্চতায় মুদ্রাস্ফীতি, মিউচুয়াল ফান্ডে এখন বিনিয়োগে কৌশল কী হওয়া উচিত?

Last Updated:

Mutual Fund: বর্তমান পরিস্থিতির অধিকাংশ লাভ নেওয়ার জন্য যে কৌশলগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে, তা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন Bankbazaar-এর সিইও আদিল শেঠি (Adhil Shetty)।

#নয়াদিল্লি: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি, যার ফলে বাড়ছে সুদের হার৷ মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অস্থিরতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও সঙ্কুচিত হচ্ছে, বিশেষ করে ইক্যুইটি-ভিত্তিক স্কিমগুলোতে এমনটা হচ্ছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। অতএব, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন একটি বিনিয়োগ কৌশল প্রয়োজন যা বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওর যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ বৃদ্ধি করতে পারে।
মিউচুয়াল ফান্ডকে শুধুমাত্র আর্থিক পণ্য হিসেবে দেখার পরিবর্তে বিনিয়োগকারীদের উচিত এগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্যগুলোর সমাধান হিসেবে দেখা। একটি সুশৃঙ্খল ও পদ্ধতিগত দৃষ্টিকোণ অবলম্বন করলে এবং বার্ষিক পোর্টফোলিও ঠিকঠাক পর্যালোচনা করতে পারলে অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত আর্থিক স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব। বিনিয়োগের সময় বাজারের স্থিতি বিবেচনা করে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদের জন্য কৌশল পরিবর্তন করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে বিনিয়োগের বুনিয়াদি বিষয়গুলো যেন পরিবর্তিত না হয়!
advertisement
বর্তমান রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি এবং মধ্য মেয়াদ আমাদের মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগে নতুন কৌশল নির্ধারণ করার একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতির অধিকাংশ লাভ নেওয়ার জন্য যে কৌশলগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে, তা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন Bankbazaar-এর সিইও আদিল শেঠি (Adhil Shetty)।
advertisement
১. ইক্যুইটি স্কিমগুলোর অতিরিক্ত ক্রয়
ইক্যুইটি বিনিয়োগকারীদের এসআইপির (SIP) মাধ্যমে বিনিয়োগ করা উচিত। যেহেতু স্টক মার্কেটগুলো সাম্প্রতিক ঐতিহাসিক উচ্চস্তর থেকে প্রায় ২০ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে, তাই এই সময়ে বিনিয়োগের খরচ তুলতে নিম্ন নিট সম্পদ মূল্যে (NAV) ইউনিট কেনার সুযোগ রয়েছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। ফান্ডে জমা অর্থ অনুযায়ী বর্তমান অস্থিরতার সর্বাধিক লাভ নেওয়ার জন্য ডিপগুলোও ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া একটি সিস্টেমেটিক ট্রান্সফার প্ল্যান (STP) ব্যবহার করার বিষয়েও বিবেচনা করা যেতে পারে, যেখানে একটি লিকুইড স্কিমে একজন ব্যক্তির একক বিনিয়োগগুলো পদ্ধতিগতভাবে টার্গেট স্কিমে স্থানান্তরিত করা হয়।
advertisement
২. স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী ডেট ফান্ডে বিনিয়োগ
বর্তমান ডেট বিনিয়োগকারী বা যাঁরা ডেট ফান্ডে (Debt Fund) বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা স্বল্পমেয়াদী ডেট ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন, এতে সুদের হার ওঠানামার ঝুঁকি অনেক কম থাকে। বিনিয়োগকারীদের মনে রাখা উচিত যে সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে ডেট ভ্যালুর সম্পর্ক বিপরীতমুখী। এর সহজ অর্থ হল ডেট ফান্ডগুলি উচ্চ-সুদের চক্রে খারাপ পারফর্ম করে। একই সময়ে, এড়াতে হবে ক্রেডিট-রিস্ক ডেট ফান্ড।
advertisement
৩. এসজিবি ও গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ
মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একমাত্র সম্বল হল সোনা। বর্তমান বিনিয়োগকারীরা সোনা-সম্পর্কিত ফান্ড, গোল্ড ইটিএফ বা এসজিবি তাঁদের পোর্টফোলিওতে যুক্ত করে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে পারেন। তবে সোনার জন্য বরাদ্দ যেন সামগ্রিক পোর্টফোলিওর ৫-১০ শতাংশের বেশি না হয়। যদি একজন বিনিয়োগকারী সোনায় ৫ শতাংশের কম বিনিয়োগ করে থাকেন, তবে গোল্ড ফান্ডে তিনি আরও বিনিয়োগ করতে পারেন। নতুন বিনিয়োগকারীরাও সোনা-সম্পর্কিত ফান্ডে কমপক্ষে ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারেন।
advertisement
৪. ডায়নামিক অ্যাসেট অ্যালোকেশন ফান্ডে বিনিয়োগ
সফল বিনিয়োগের চাবিকাঠি হল অ্যাসেট অ্যালোকেশন। বিভিন্ন রকম অ্যাসেট ক্লাসের ভ্যালুয়েশনের উপর নির্ভর করে বিনিয়োগকারীদের অ্যাসেট অ্যালোকেশন বৈশিষ্ট্যযুক্ত ডেট এবং ইক্যুইটির দিকে নজর দেওয়া উচিত। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে বাজারদরের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ এই দুই স্কিমের মধ্যে পরিবর্তিত হতে থাকে এবং লগ্নিকারি সর্বোচ্চ রিটার্ন পান। এই ধরনের বিনিয়োগ রিটার্ন শুধুমাত্র ডেট বা ইক্যুইটির তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল হয়।
advertisement
৫. এসআইপি-র পরিমাণ বৃদ্ধি
বার্ষিক পোর্টফলিও পর্যালোচনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনই বার্ষিক এসআইপি পর্যালোচনাও খুবই প্রয়োজনীয়। মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি মাথায় রেখে বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে এসআইপি বৃদ্ধি করা উচিত। এর ফলে ভবিষ্যতের সমস্ত লক্ষ্যগুলি পূরণ হওয়া নিশ্চিত হয়ে যায় এবং বিনিয়োগ মুদ্রাস্ফীতির চাপকে উপেক্ষা করে চলে।
advertisement
৬. বিচলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই
অর্থের খুব প্রয়োজন না হলে নিজের ইক্যুইটি বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা উচিত হবে না। নিম্নগামী মার্কেট বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার কারণ কখনওই হতে পারে না। মার্কেটের খারাপ অবস্থা হল বিনিয়োগ বজায় রাখার বা অতিরিক্ত টাকা বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। বর্তমানে পরিস্থিতিকে ভালো রিটার্নের সুযোগ হিসেবে মনে করা যেতে পারে। এই সময়ে বিনিয়োগ তুলে নিলে ভালো রিটার্ন না আসার সঙ্গে লোকসানের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভবিষ্যতে আবার লগ্নির সাহস চলে যাবে। যার অর্থ ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলো অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়া।
৭. সেক্টরাল ফান্ডে বিনিয়োগ
এই পরিস্থিতিতে সেক্টর-ভিত্তিক ফান্ড বা স্যাটেলাইট ফান্ডে বিনিয়োগ করে পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে। গত কয়েক মাসে ব্যাঙ্ক, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং আইটি সেক্টরগুলোর সূচক ক্রমাগত ভাবে নিম্নমুখী রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এই সেক্টরে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন, যা দীর্ঘমেয়াদী রিটার্নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তবে উপরের বিনিয়োগের কৌশলগুলো সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত না-ও হতে পারে। যে কোনও একটি কৌশল অনুসরণ করে লগ্নি করার আগে নিজের বয়স, লোকসানের সম্ভাবনা এবং লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করা উচিত। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে লগ্নিকারিরা অর্থনৈতিক উপদেষ্টার সঙ্গেও পরামর্শ করতে পারেন।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Mutual Fund: রেকর্ড উচ্চতায় মুদ্রাস্ফীতি, মিউচুয়াল ফান্ডে এখন বিনিয়োগে কৌশল কী হওয়া উচিত?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement