Mutual Fund: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার অবশ্যই জেনে নিন এই বিষয়গুলি

Last Updated:

Mutual Fund: কী ভাবে মিউচুয়াল ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়?

#কলকাতা: ধরা যাক, আমরা কোথাও অর্থ বিনিয়োগ করছি। আর সেটা অন্য কেউ পেশাদারিত্বের সঙ্গে পাকা হাতে আমাদের হয়ে পরিচালনা বা ম্যানেজ করছে। এই ধরনের পরিষেবা কি আদৌ পাওয়া যায়? হ্যাঁ, এই ধরনের পরিষেবাও পাওয়া যায়। তবে এই জাতীয় পরিষেবা পেতে গেলে সাধারণত একটা মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কম টাকা বিনিয়োগ করে যদি বেশ পেশাদার পরিষেবা পাওয়া যায়, তা হলে কেমন হয়? এমনকি লগ্নি করা অর্থ থেকে যদি ভালো উচ্চস্তরের আয় হয়, সেটাও কি আদৌ সম্ভব? হ্যাঁ, এ সবই সম্ভব। তবে তার জন্যই বিনিয়োগ করতে হবে মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund)।
মিউচুয়াল ফান্ড:
advertisement
‘মিউচুয়াল ফান্ড’ হল-- ট্রাস্টের আকারে প্রতিষ্ঠিত একটি তহবিল, যা একাধিক বিনিয়োগকারীর থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। এর পর সকলের অর্থকে জুড়ে বিভিন্ন সেক্টরে একসঙ্গে বিনিয়োগ করে। আর এই প্রতিটি বিনিয়োগে সবার নিজস্ব ইউনিট বা শেয়ার থাকে। এই টাকা ইক্যুইটি (Equity), বন্ড (Bond), মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট (Money Market Instrument) এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ়-এ বিনিয়োগ করা হয়। এই বিনিয়োগ থেকে যে পরিমাণ লাভ হয়, তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তাদের ইউনিটের ভাগ অনুযায়ী বিতরণ করা হয়।
advertisement
ব্যাপারটাকে আরও সহজ ভাবে ভেঙে বোঝানো যাক। মিউচুয়াল ফান্ড মূলত মিলিত অর্থের একটি পুঁজি। এখানে সাধারণত বিনিয়োগকারীরা নিজেদের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। আর বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিত উদ্দেশ্য অনুযায়ী এই তহবিলের টাকা বিভিন্ন সেক্টরে লগ্নি করা হয়।
এই অর্থ স্টক, বন্ড, মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট, সোনা, রিয়্যাল এস্টেট প্রভৃতিতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ড মানি ম্যানেজার বা তহবিল ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করে বেশি পরিমাণ লাভ কী ভাবে আয় করা যেতে পারে, সেই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এই মানি ম্যানেজাররা।
advertisement
আবার উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, ঋণ তহবিল (Debt funds) হল, এক ধরনের স্কিম। এর একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্য হল-- ফিক্সড ইনকাম ইনস্ট্রুমেন্টগুলিতে অথবা বন্ড, সরকারি সিকিউরিটি, ডিবেঞ্চার প্রভৃতিতে অর্থ লগ্নি করা। একই ভাবে, ইক্যুইটি ফান্ড ইক্যুইটি সম্পর্কিত ইন্সট্রুমেন্টে বিনিয়োগ করে। আর ইক্যুইটি সম্পর্কিত ইন্সট্রুমেন্ট-এর মধ্যে পড়বে-- কনভার্টিবল ডিবেঞ্চার, কনভার্টিবল প্রেফারেন্স শেয়ার, ইক্যুইটি শেয়ার পাওয়ার অধিকার বহনকারী ওয়ারেন্ট এবং ইক্যুইটি ডেরিভেটিভস্ প্রভৃতি। 
advertisement
মিউচুয়াল ফান্ডের কিছু সাধারণ বিভাগ হল:
  • ইক্যুইটি ফান্ড (Equity funds): ইক্যুইটি ফান্ড প্রধানত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বা স্টক এবং অন্যান্য ইক্যুইটি ইন্সট্রুমেন্টে বিনিয়োগ করা হয় ।
  • ডেট ফান্ড (Debt funds): ডেট ফান্ড প্রধানত ফিক্সড ইনকাম ইনস্ট্রুমেন্টগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়।
  • advertisement
  • মানি মার্কেট ফান্ড (Money market funds): এই তহবিলের অর্থ মূলত স্বল্পমেয়াদী মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্টগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়।
  • হাইব্রিড ফান্ড (Hybrid funds): এই তহবিল ডেট বা ঋণ এবং ইক্যুইটির মধ্যে বিনিয়োগ ভাগ করে সামঞ্জস্য আনে।
  • advertisement
    কী ভাবে মিউচুয়াল ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়?
    মিউচুয়াল ফান্ডকে ট্রাস্টের আকারে বানানো হয়। যার একটি স্পনসর, ট্রাস্টি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (AMC) এবং কাস্টোডিয়ান থাকে। এক জন স্পনসরই এই ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কোম্পানির এক জন প্রোমোটারের মতো কাজ করে থাকেন। এই ফান্ডের ট্রাস্টিরা ইউনিট হোল্ডার বা অংশীদারদের সুবিধার জন্য তাদের সম্পত্তি ধরে রাখে। সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) দ্বারা স্বীকৃত এক জন কাস্টোডিয়ানের ভূমিকা পালন করেন। তহবিলের বিভিন্ন স্কিমের নিরাপত্তার দায়িত্বভার থাকে তার উপর। AMC-এর উপর নির্দেশনার ক্ষমতা থাকে ট্রাস্টিদের কাছে। SEBI গাইডলাইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাজ চলছে কি না, তার নজরদারির দায়িত্ব থাকে ট্রাস্টিদের কাছে।
    advertisement
    ইক্যুইটি, ডেট (Debt) বা উভয়ক্ষেত্রে দক্ষ, এমন পেশাদার মানি ম্যানেজারদের নিয়োগ করে AMC। এই ম্যানেজাররা এর পর বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের হয়ে লগ্নি করে।
    AMC-এর কাছে নির্দিষ্ট বিনিয়োগের ম্যান্ডেট-সহ একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম থাকতে পারে। উদ্দেশ্য এবং প্রত্যাশিত লাভ অনুযায়ী, এক জন বিনিয়োগকারী তার ইচ্ছেমতো স্কিম বেছে নিয়ে সেখানে তার টাকা বিনিয়োগ করতে পারে।
    ডিরেক্টরদের একটি বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সমস্ত AMC। আর তা SEBI (মিউচুয়াল ফান্ড) আইন, ১৯৯৬-এর অধীনে আসে। এই আইন অনুযায়ী, কোনও বিনিয়োগকারী তার অর্থ মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করার আগে তাকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় বুঝিয়ে দেবে AMC। কত লাভ-লোকসান হতে পারে, ঝুঁকির পরিমাণ কেমন রয়েছে এবং কত পরিমাণ টাকা লোকসান হতে পারে প্রভৃতি বিষয়ে জানানো হয় বিনিয়োগকারীকে। AMC-কে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সমস্ত তথ্য পড়ে তবেই যেন এক জন বিনিয়োগকারী নিজের অর্থ মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করে।
    মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সুবিধা: 
    মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের প্রধান সুবিধা হল-- প্রত্যেক বিনিয়োগকারী এমনকি কম অর্থ বিনিয়োগকারীও পেশাদার মানি ম্যানেজমেন্টের সুবিধা পায়। কম পরিমাণ অর্থ দিয়ে নিজের বিনিয়োগের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করা এক জন বিনিয়োগকারীর পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। মিউচুয়াল ফান্ডে প্রত্যেক বিনিয়োগকারী কোনও স্কিমে পাওয়া লাভের সমানুপাতিক অংশ পায়। বিনিয়োগকারীদের প্রতিটি ইউনিট তহবিল থেকে লাভের সমান আনুপাতিক অংশ পায়, আবার লোকসানের ক্ষেত্রেও সমান আনুপাতিক অংশ বহন করে। প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জন্য একটি করে পোর্টফোলিও তৈরি করা হয়, যেখানে তাদের সমস্ত বিনিয়োগ, লাভ এবং ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ থাকে।
    বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
    Mutual Fund: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার অবশ্যই জেনে নিন এই বিষয়গুলি
    Next Article
    advertisement
    West Bengal Weather Update: ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
    ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে ! দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে
    • ভারী বর্ষণের সতর্কতা উত্তরবঙ্গে !

    • দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে

    • কলকাতা-সহ বাকি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে রবিবার পর্যন্ত

    VIEW MORE
    advertisement
    advertisement