#নয়াদিল্লি: দেশের কোনও নামীদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি লাভ বা বিদেশে আন্তর্জাতিক কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা-- দুই ক্ষেত্রেই অনেক টাকার দরকার হয়। অনেক সময়ই দেখা যায় যে, অর্থের অভাবে আমরা উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে থাকি। অথচ একটু ইন্টারনেট রিসার্চ করলেই দেখা যায়, পারিবারিক আর্থিক সহায়তা ছাড়াই ব্যয়বহুল কোর্স করা যায়। কিন্তু কী ভাবে? শিক্ষা ঋণের মাধ্যমে। ছোট থেকে বড়, দেশের প্রায় প্রত্যেক ব্যাঙ্কেই এডুকেশন লোনের সুবিধা থাকে।
আরও পড়ুন: অনলাইন না অফলাইন ? এডুকেশন লোনের জন্য কী ভাবে আবেদন করতে হবে ?
ব্যাঙ্ক শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় সুদের হারে ঋণ প্রদান করে। পার্ট-টাইম অথবা রেগুলার-- সমস্ত রকম পড়াশুনার জন্য শিক্ষা লোনের সুবিধা রয়েছে। ন্যূনতম বার্ষিক ৬.৭৫% সুদের হার থেকে শুরু করে ১৫ বছর পর্যন্ত লোন পরিশোধ করার মেয়াদ পাওয়া যায়। কোর্সের এবং আবেদনকারীর যোগ্যতার উপর ভিত্তিক করে ব্যাঙ্ক সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন হিসেবে প্রদান করে।
সুদের হার এবং মেয়াদ প্রত্যেক ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়। যোগ্যতার মাপকাঠিও একই ভাবে পরিবর্তিত হতে থাকে। এ ছাড়া লোন পরিশোধ করার সময় সুদের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়। টিউশন ফি, পরীক্ষা ফি, হোস্টেল ফি এবং স্টাডি ট্যুর থেকে শুরু করে কোর্স সম্পর্কিত সমস্ত খরচ ব্যাঙ্ক বহন করবে। বিদেশে পড়াশুনার ক্ষেত্রে যাতায়াতের খরচও শিক্ষা ঋণে যুক্ত করা হয়। পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর লোন পরিশোধের জন্য EMI জমা দেওয়া শুরু করার আগে এক বছরের বিরতিও পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ২০২০ সালের কোর্স শেষ হলে ২০২১ থেকে মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ শুরু করতে পারবেন গ্রাহক।
আরও পড়ুন: প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা দিচ্ছে মোদি সরকার, দেখে নিন কী করতে হবে....
কী ভাবে শিক্ষা ঋণ পরিশোধ করতে হবে?
ঋণগ্রহীতার কোর্স শেষ হওয়ার ৬ থেকে ১২ মাস পর অথবা চাকরি পাওয়ার পর EMI-এর মাধ্যমে লোন পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পড়াশুনা শেষ হওয়ার পরে এবং লোন পরিশোধ শুরু করার আগের বিরতির সময়সীমা ব্যাঙ্কের গাইডলাইন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে থাকে। কোনও ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এই বিরতির মেয়াদ ১২ মাস, আবার কোনও ব্যাঙ্ক আরও বেশি সময় দিয়ে থাকে। সুদ-সহ মাসিক কিস্তিতে মেয়াদের মধ্যে সম্পূর্ণ লোন শোধ করতে হবে।
নিম্নলিখিত মাধ্যম ব্যবহার করে মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়--
প্রত্যেক ঋণদাতার লোন পরিশোধের প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন-- ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে চেকের সুবিধা রয়েছে, যদিও লোনদাতা স্বাধীন সংস্থার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেই। এই কারণে লোন নেওয়ার আগে পরিশোধ প্রক্রিয়া জেনে নিতে হবে। তাই ঋণগ্রহীতাকে মাসিক কিস্তি জমা দেওয়ার এমন উপায় বেছে নিতে হবে, যেখানে তাঁকে প্রতি মাসে কোনও রকম সমস্যার মুখোমুখি না-হতে হয়। ডাইরেক্ট ডেবিট বা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং-এর মতো অটোমেটিক প্রক্রিয়া চয়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: এই ভাবে সহজেই আধার কার্ডে বদলাতে পারবেন ছবি
ঋণ নেওয়ার সময় পরিশোধ সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয়--
বিরতির সময়সীমা: শিক্ষা লোনের ক্ষেত্রে কোর্স শেষ হওয়ার পরে এবং মাসিক কিস্তি শুরু হওয়ার মাঝের বিরতি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময়ই দেখা যায় যে, পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর চাকরি পেতে একটু সময় লাগছে। অনেক ক্ষেত্রে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। ঋণ নিশ্চিত হওয়ার আগে তাই এই বিষয়গুলি ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
মেয়াদের আগে ঋণ পরিশোধ: মাসিক কিস্তির পাশাপাশি এক বারে বড় অঙ্কের টাকা জমা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করার সুবিধা রয়েছে কি না, সেটা দেখে নিতে হবে। সাধারণত সমস্ত ব্যাঙ্কই এই সুবিধা প্রদান করে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য মেয়াদের আগে ঋণ শোধের পরিষেবা দেওয়া হয়। সময়ের আগে লোন পরিশোধ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যাঙ্কের গাইডলাইন ভিন্ন হয়। এডুকেশন লোন নেওয়ার সময় ঋণদাতার কাছ থেকে জেনে নিতে হবে যে, এক বারে লোন শোধ করতে চাইলে অতিরিক্ত কোনও প্রসেসিং ফি বা হিডেন চার্জ দিতে হবে কি না।
কর্মজীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে যদি টাকা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে নির্দ্বিধায় শিক্ষা ঋণ নিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াটাই শ্রেয়। এমন কিছু ঋণদাতা রয়েছে, যারা কোনও অ্যাসেট বা গ্যারান্টি জমা না-নিয়ে শুধুমাত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোর্সের উপর ভিত্তি করে এডুকেশন লোন বা শিক্ষা ঋণ প্রদান করে। আর কোর্স শেষ হওয়ার পর চাকরি পেয়ে মাসিক কিস্তিতে নির্ঝঞ্ঝাটে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি নিজের কেরিয়ারকেও মজবুত করা যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।