হোম /খবর /ব্যবসা-বাণিজ্য /
এই চাষই ভাগ্য ফিরিয়েছে, বছরে আয় করছেন ২০ লাখ টাকা

এই চাষই ভাগ্য ফিরিয়েছে, বছরে আয় করছেন ২০ লাখ টাকা

মা ডুমরেজানি মন্দিরের কাছে জাতীয় সড়ক-১২০-এর পাশের জমিতেই কলা চাষ করে রীতিমতো সোনা ফলাচ্ছেন মানবেন্দ্র।

  • Share this:

পটনা: জৈব চাষ করে বিপুল টাকা আয় করা যায়। এই কথাটাকেই সত্যি প্রমাণ করেছেন বিহারের বক্সার জেলার ডুমরাঁও শহরের দক্ষিণ টোলার বাসিন্দা কৃষক মানবেন্দ্র নাথ রাই। চার বছর আগে মানবেন্দ্র ছয় একর জমিতে কলা চাষ শুরু করেন। লাভের অঙ্ক দেখে এখন ১০ একর জমিতে চাষ করছেন। শুধু কলা চাষ করেই মানবেন্দ্র বছরে ২০ লাখ টাকা রোজগার করেন। মা ডুমরেজানি মন্দিরের কাছে জাতীয় সড়ক-১২০-এর পাশের জমিতেই কলা চাষ করে রীতিমতো সোনা ফলাচ্ছেন মানবেন্দ্র।

আগে গতানুগতিক চাষবাস করতেন মানবেন্দ্র। এতে খরচ হত। কিন্তু লাভ উঠত না। এরপর তিনি জৈব ও প্রযুক্তিগত চাষ শুরু করেন। প্রথমে পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রে গিয়ে সেখানকার কৃষকদের থেকে হাতে-কলমে শেখেন। তারপর বিহারে ফিরে নিজের ক্ষেতে শুরু করেন চাষ।

কলা চাষে একর প্রতি এক লাখ টাকা খরচ: মানবেন্দ্র জানান, কলার বীজ আসে মহারাষ্ট্র থেকে। বর্তমানে ১০ একর জমিতে কলা চাষ করেছেন। একর প্রতি ১ লাখ টাকা খরচ। কিন্তু লাভ ২ থেকে ৩ লাখ। অর্থাৎ দ্বিগুণ মুনাফা। বর্তমানে মানবেন্দ্র কলা চাষ করে বছরে ২০ লাখ টাকা আয় করেন। ৫ জনকে কাজেও রেখেছেন তিনি। তারা ক্ষেতের ফসল দেখাশোনা করে।

২০২১ সালের প্রবল ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি: মানবেন্দ্র জমিতে জি-৯ জাতের কলা চাষ করেন। এর বীজও মহারাষ্ট্র থেকে আসে। এই প্রজাতির কলার উৎপাদন ভাল হয়। ফলের আকার ও স্বাদও অন্যান্য কলার চেয়ে অনেক ভাল। মানবেন্দ্র জানান, কলার বীজ রোপনের উপযুক্ত মরশুম জুলাই-অগাস্ট। তবে এই জাতের কলায় ভাইরাসজনিত রোগের ঝুঁকি রয়েছে। এর জন্য আগেই ওষুধ স্প্রে করা হয়। মানবেন্দ্র জানান, ২০২১ সালের প্রবল ঝড়ের কারণে কলা চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘তবে আমরা কৃষক। লোকসানের ভয় করি না। অনেক ঝড়ঝাপটার পরেও কলা চাষ করে লাভের মুখ দেখেছি’। শুধু মানবেন্দ্র নয়, তাঁর মতো অনেকে জৈব চাষ, বিশেষ করে কলা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়েছেন।

Published by:Dolon Chattopadhyay
First published:

Tags: Agriculture, Banana Farming