#নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পরিবেশনের আর বেশি দেরি নেই। প্রি-বাজেট মেমোতে বিশেষ অনুরোধ করলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। তিনি জানালেন যে রাজ্য সরকারের কাছে সম্পদের বিশেষ জোগান নেই। তাছাড়া বিভিন্ন রাজ্যের সরকার অর্থের অভাবে বড় কোনও প্রোজেক্টে বিনিয়োগ করতে পারছে না। অর্থমন্ত্রী চাইছেন কেন্দ্রীয় সরকার যেন এই বিষয়গুলি একবার ভেবে দেখেন এবং বাজেটে যেন রাজ্য সরকার কোনও ভাবে বঞ্চিত না হয়।
কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী একটি চিঠি লেখেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে অমিত মিত্র, সমব্যয় রাজস্ব ফেডারালিজমের পক্ষে বহুবার সওয়াল করেছেন। তিনি চাইছেন কেন্দ্র অতিরিক্ত ৭২,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এতে আখেরে রাজ্যগুলির লাভ হবে। এই অর্থকে অতিরিক্ত বলা হচ্ছে কারণ ইতিমধ্যেই ১.১ লক্ষ কোটি টাকা ২০২১-এর অর্থ বর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharaman) এও বলেছেন যে নতুন অর্থবর্ষে যেন রাজ্যের উপরে অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো না হয়। বরং যে বাড়তি ১% রাজ্যের খাতে খরচ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র, সেটা বহাল থাকে।
অন্যান্য সমস্যাগুলির মধ্যে, অমিত মিত্র বলেছেন যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, সর্বশিক্ষা অভিযান, এবং স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিলের মতো মতো কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত প্রকল্পগুলির (সিএসএস) জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেট কম করে দিয়েছেন- এতে মুশকিলে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। বাজেট কমিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকেই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। তাঁর সনির্বন্ধ অনুরোধ- জনকল্যাণমুখী এইসব চলমান প্রকল্পগুলির পুনরায় মূল্যায়ন করা উচিৎ এবং রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি জনবলের জন্য ব্যয়ের করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হোক।
অমিত মিত্রের দাবি- বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও স্কিমের ক্ষেত্রে কেন্দ্র -রাজ্য যে বণ্টন হয়েছে তার মধ্যে একাধিক বৈষম্য আছে। এমনভাবে এগুলোর অর্থ খরচের বরাদ্দ ভাগ করা হয়েছে যাতে বেশিরভাগটাই রাজ্যের উপরে এসে বর্তায়। এই জাতীয় কল্যাণমূলক প্রকল্পের ক্ষেত্রে যেন রাজ্যের উপরে দায়ভার না চাপিয়ে দেয় কেন্দ্র, এটাও চেয়েছেন তিনি।