ডলারের তুলনায় টাকার রেকর্ড পতন কেন? ভারতীয় মুদ্রার ভবিষ্যৎ কী? কবে ঘুরে দাঁড়াবে দেখে নিন!

Last Updated:

Dollar: ডলারের তুলনায় টাকার দাম সর্বনিম্ন ৮২.৭০-এ নেমে এসেছে। বাজারের পতন এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের কড়া নিয়মের জেরেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রতীকী চিত্র
প্রতীকী চিত্র
সপ্তাহের শুরুতেই ফের পতন। ডলারের তুলনায় আরও কমল টাকার দাম। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। সোমবার ফরেক্স মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই পতনের নতুন রেকর্ড গড়ে টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডলারের তুলনায় টাকার দাম আরও কমতে পারে।
এদিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম সর্বনিম্ন ৮২.৭০-এ নেমে এসেছে। বাজারের পতন এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের কড়া নিয়মের জেরেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। সোমবার সকাল ৯ টায় ভারতীয় মুদ্রা তার আগের দামের থেকে ০.৪৭ শতাংশ কমে।
আমেরিকায় নাগাড়ে কমছে বন্ডের দাম। ভারতীয় মুদ্রার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। গত ১০ বছরের মধ্যে বন্ডের ফলন ৭.৮৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের থেকে ৩ বেসিস পয়েন্ট বেশি। এটা মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বন্ডের ফলন এবং ফরেক্স মার্কেট বিপরীত দিকে চলে।
advertisement
advertisement
সুদের হার আরও বাড়ার আশঙ্কা: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেপ্টেম্বরে চাহিদার চেয়ে বেশি নিয়োগ করেছে আমেরিকান কোম্পানিগুলো। এর ফলে বেকারত্বের হার ৩.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। মার্কিন বেকারত্বের হারের এই পতনে অবাক হয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। তাঁরা বলছেন, ফেডারেল রিজার্ভ যে ভবিষ্যতে সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে এটা তারই ইঙ্গিত। উল্লেখ্য, শুক্রবার, মার্কিন ফেড রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার এবং লিসা কুক বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সুদের হার বাড়ানো প্রয়োজন।
advertisement
ডলারের তুলনায় টাকার দাম ৮৩.৫০ হতে পারে: কমোডিটি বিশেষজ্ঞ অজয় কেডিয়া বলছেন, ডলারের তুলনায় টাকার দাম আরও কমবে। ফেড রিজার্ভ ২০২৩ সালেও সুদের হার বাড়ানোর কথা জানিয়েছে, এটা সরাসরি ডলারকে উপকৃত করলেো ভারতীয় মুদ্রার উপর চাপ বাড়বে। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ডলারের তুলনায় টাকা ৮৩.৫০-এর রেকর্ড সর্বনিম্ন দামে নেমে যেতে পারে। অবস্থার উন্নতি হলে ডলারের তুলনায় টাকা ৮১.৮০-এর কাছাকাছি থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
অপরিশোধিত তেলের দামেও চাপ বাড়বে: টাকার দাম পড়লে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়বে। এতে চলতি হিসেবের ঘাটতি তো বাড়বেই ভারতীয় মুদ্রাও দুর্বল হবে। বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আগামী দিনে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারে পৌঁছতে পারে। ব্রোকারেজ ফার্ম কোটাক ইনস্টিটিউট বলছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে ধীরগতির চাপ ভারতীয় মুদ্রাতেও দেখা যাবে। এর ফলে অক্টোবরেই টাকা ৮৩.৫০-এ নেমে যেতে পারে।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
ডলারের তুলনায় টাকার রেকর্ড পতন কেন? ভারতীয় মুদ্রার ভবিষ্যৎ কী? কবে ঘুরে দাঁড়াবে দেখে নিন!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement