কলকাতা: বসন্তে রঙের খেলা শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ফুরিয়ে গিয়েছে শীতের বেলা। ফুলকপির সময়ও শেষ। সাদা রঙের ফুলকপি তো সকলেই দেখেছি। তার নানা সুস্বাদু পদে মজেছিও আমরা। কিন্তু সেই ফুলকপিতেই যদি দেখা যায় রঙের বাহার!
গোলাপি এবং হলুদ রঙের ফুলকপি দেখা যায় কদাচিৎ। এমন সবজি যে আসলে শুধু দেখার দিক থেকেই সুন্দর তাই নয়- বরং, এর গুণাগুণও যথেষ্ট।
ছত্তিসগঢ়ের জাঞ্জগির-চাঁপায় এমন রঙিন ফুলকপির চাষ করেছেন এক তরুণ কৃষক। জাঞ্জগির-চম্পার বামনিডিহি ব্লকের গোবিন্দ গ্রামের কৃষক গোবিন্দের রঙিন ফুলকপি নিয়ে মাতামাতি চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই।
তবে প্রথমেই ফুলকপি নয়। বরং গোবিন্দ মজেছিলেন বাঁধাকপির মায়ায়। প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে স্বল্প পরিসরে রঙিন বাঁধাকপি রোপণ করেছিলেন। সে বার সফল হন তিনি। তাই ইচ্ছেটাও চেপে বসে মনের মধ্যে। বর্তমানে তাঁর দেড় একর জমিতে তিনি হলুদ ও গোলাপি রঙের ফুলকপি চাষ করছেন। এতে শুধু ভাল ফলনই যে হচ্ছে তাই নয়, রঙিন ফুলকপির দামও পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেট্রোল ডিজেলের দাম কি বাড়ল? সপ্তাহের শুরুতে জানুন আজকের দরএমএসসি পাস তরুণ কৃষকের উদ্ভাবন
গোবিন্দ নিজে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর রয়েছে বিএড ডিগ্রিও। কিন্তু পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন কৃষিকে। তিনি এখন বাজারে রঙিন ফুলকপি বিক্রি করে দেড় গুণ লাভ করছেন। গোবিন্দ জানিয়েছেন, তিনি মহারাষ্ট্র থেকে বীজ এনে জমিতে ফুলকপি রোপণ করেছিলেন। কৃষিতে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পছন্দ করেন গোবিন্দ। আর সেই ভালবাসাই তাঁকে দিয়েছে নতুন আয়ের পথ।
লাভের কারণ:
মানুষ তিনগুণ বেশি দাম দিয়ে গোলাপি ও হলুদ ফুলকপি কিনতে প্রস্তুত। আর এর ফলেই রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন গোবিন্দ। তিনি জানান, এক সময় সাধারণ সাদা ফুলকপি চাষ করে বিক্রি করতেন। তখন প্রতি কেজি ৬ থেকে ৭ টাকা দর ছিল। কিন্তু এখন মানুষ রঙিন ফুলকপির জন্য প্রতি কেজি ৮০ টাকা পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত।
আসলে এই রঙিন ফুলকপি বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী। চিকিৎসদের মতে গোলাপি এবং হলুদ ফুলকপিতে অনেক পুষ্টি রয়েছে। সেই সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্কের মতো খনিজের গুণাগুণ পাওয়া যায়। এটি বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।