কলকাতা: কৃষি এবং কৃষকরাই আমাদের দেশের সম্পদ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে গ্রীষ্ম, বর্ষা যে কোনও ঋতুতেই তাঁরা নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন। ভারতের কৃষিক্ষেত্রে এখনও পুরনো পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। আর এর জন্য প্রতি বারই কোনও না-কোনও কারণে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই বার শীতের মরশুমে দেশের অনেক অংশে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে যাওয়ায় চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
আসলে সাম্প্রতিক পাওয়া খবর অনুযায়ী, দেশের অনেক অংশেই গম চাষ করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে গম চাষের ক্ষেত্রে পাতার রঙ হলুদ হয়ে যাচ্ছে। যা আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা অধিক হ্রাসের জেরে উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকারের মাইক্রোবিয়াল গতিবিধি ধীর গতিতে হয়। আর এর কারণে গাছ বেশি পরিমাণে নাইট্রোজেন গ্রহণ করতে পারে না। যে কোনও উদ্ভিদ প্রাকৃতিক উপায়ে উপলব্ধ নাইট্রোজেনকে নাইট্রেটে রূপান্তর করে। নাইট্রোজেন উদ্ভিদের পুষ্টির মধ্যে অন্যতম উপাদান। এটি নীচের পাতা থেকে ক্রমশ উদ্ভিদের উপরের দিকের অংশ এবং পাতায় সঞ্চারিত হয়। এই কারণে গাছের নিচের দিকের পাতা হলুদ হয়ে যায়।
জয়পুরের বাসিন্দা এগ্রিকালচার স্নাতক রাজেশ মীনা জানিয়েছেন যে, এই সমস্যাটি নিয়ে কৃষকদের খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ এটি কোনও রোগ নয়। দিন কয়েক পরে তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। যদি কোনও কৃষকের ক্ষেতে এই সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করে, তা-হলে সেই ক্ষেতে চাষ করা ফসলে ২ শতাংশ ইউরিয়া স্প্রে করা যেতে পারে।
ইউরিয়ার পরিবর্তে জিপসাম এবং ইউরিয়ার মিশ্রণও জমিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তীব্র ঠান্ডার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকরা এই সময় ফসলে হালকা সেচও দিতে পারেন। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় তীব্র শীতে ক্রমাগত উষ্ণতার পারদ নেমেই চলেছে। স্বভাবতই কৃষকরাও চিন্তিত। কারণ তাপমাত্রা অতিরিক্ত নেমে গেলে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। উষ্ণতা হ্রাস তো আর প্রতিরোধ করা যাবে না, তাই সমস্যা দূর করার জন্য কৃষি বিভাগের সহায়তা নিয়ে ফসলে সেচ এবং সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Farming, Wheat, Wheat Price Hike