Cryptocurrency Ban in India: ভারতে বন্ধ করা হতে পারে; ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে আছে ঠিক কোন জায়গায়?

মঙ্গলবার রাতে জারি করা শীতকালীন অধিবেশনের লেজিস্টেটিভ এজেন্ডা থেকে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি যে বিলটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ, সেটি হল ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল। কারণ মনে করা হচ্ছে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল পাশ করিয়ে ভারতে বন্ধ করা হতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সি। মোদি সরকার এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করবে, নাকি এর ওপর কিছু প্রতিবন্ধকতা চাপিয়ে এটি চালু রাখবে, তার ওপরেই পুরো দেশের নজর। এই সকল প্রশ্নের উত্তর সামনে আসবে বিল আসার পরেই। ক্রিপ্টোকারেন্সির এই বিলের নামটি হল 'ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেসন অফ অফিসিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল,২০২১' (Cryptocurrency and Regulation of Official Digital Currency Bill, 2021)।

সকলের কাছে এখন একটাই প্রশ্ন- কেন্দ্রীয় সরকার যদি ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করে দেয় তাহলে কী হবে ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যৎ? জোরোধার সহ-সংস্থাপক নিখিল কামাত ট্যুইটারে (Twitter) একটি ট্যুইট করে এই একই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, মনে করা হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন বিলের ফলে বিটকয়েন (Bitcoin) সহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হবে। যদি সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর ব্যান লাগায় তাহলে ব্যাঙ্ক আর বিনিয়োগকারীদের ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে। ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার জন্য টাকার ব্যবহার করা যাবে না।

বর্তমানে পুরো বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৭ হাজারের বেশি ক্রিপ্টো কয়েনের প্রচলন রয়েছে। এগুলো হল এক ধরনের ডিজিটাল কয়েন। কিন্তু ২০১৩ সাল পর্যন্ত পুরো বিশ্বে এই ধরনের একটাই ক্রিপ্টো কয়েন প্রচলিত ছিল, সেটা হল বিটকয়েন। এই বিটকয়েন লঞ্চ করা হয়েছিল ২০০৯ সালে। এই বিটকয়েন এখনও ভারত-সহ পুরো বিশ্বে একই রকম জনপ্রিয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন বিলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) জারি করা ডিজিটাল কারেন্সি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এই সমিতির বৈঠকের কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বিভিন্ন মন্ত্রালয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।