East Burdwan News: সৌদি আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে কাটোয়ায়, রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ

Last Updated:

বাজারে আজওয়া প্রজাতির খেজুর কিলো প্রতি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয় ৷

+
title=

কাটোয়া: সৌদি আরবের খেজুরের বিশ্বজোড়া খ্যাতি। মেগজুল, আজওয়া প্রজাতির খেজুর এদেশেও আমদানি হয়।তবে এবার মেগজুল, আজওয়া প্রজাতির খেজুর ফলানোর লক্ষ্যে বাগান করেছেন কাটোয়ার এক কৃষক। কাটোয়া শহরের হাজরাপুর কলোনীর অজয় নদের ধারে বিঘা দুয়েক জমিতে খেজুর গাছের বাগান তৈরি করেছেন গোপাল মণ্ডল। ইতিমধ্যে কিছু কিছু গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে। কিছু গাছে ফুলও এসেছে। মেগজুল, আজওয়া প্রজাতির খেজুর এই বাগানে ফলবে বলে দাবি গোপাল বাবুর।
গোপাল বাবু জানান ,”কাটোয়া মহকুমা কৃষি আধিকারিক প্রলয় ঘোষ আমাকে চাষের জন্য সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন । তবে আমি এখনও কোনও সাহায্যের জন্য যায়নি পরবর্তীতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে” ।গুজরাট ও রাজস্থান রাজ্যে এখন সৌদি আরবের প্রজাতির খেজুরের চাষ হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অনেকেই গুজরাট থেকে বীজ বা চারা এনে খেজুর চাষ শুরু করেছেন। পুষ্টিগুণের কারণে এই খেজুরের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।
advertisement
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজরাপুর কলোনির গোপাল মণ্ডল বিকল্প চাষ হিসাবে খেজুর বাগান করেছেন। গোপালবাবু ( টেলিকমিউনিকশন বিভাগে ) বিএসএনএলে চাকরি করতেন। ২০১৭ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার আগে থেকেই গোপাল বাবুর চাষের প্রতি আগ্রহ । শহরের ধারে অজয় নদের বাঁধের নীচে বেশ কয়েক বিঘা জমি রয়েছে গোপাল বাবুর। তার মধ্যে দু’বিঘা জমিতে খেজুর বাগান করেছেন।
advertisement
গোপালবাবু জানান, দেড় বছর আগে দুবাই ও বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের আজওয়া ও মেগজুল প্রজাতির বীজ তিনি আনিয়েছিলেন। জমিতে জৈব সার দিয়ে খেজুর চাষের উপযোগী মাটি তৈরি করেন। কুড়ি ফুট তফাতে গর্ত তৈরি করে বীজ রোপন করেন। সেখানে দিব্যি গাছ জন্মেছে। কয়েকটি গাছে ইতিমধ্যে ফল ও ফুল ধরেছে। তবে গোপালবাবু এখনই ফলের আশা করছেন না। কারণ তিনি জানিয়েছেন সৌদি আরবের মতোই সুস্বাদু খেজুর ফলতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লাগে।
advertisement
গোপালবাবু জানান, বীজ এনে বাগান তৈরি করতে তাঁর এখনও পর্যন্ত দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মূলত ইউটিউব দেখেই এই খেজুর চাষ করবো বলে ঠিক করি। বাংলাদেশেও এখন সৌদি আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে। তাই আমাদের রাজ্যে উর্বর পলি মিশ্রিত মাটিতে আরবের খেজুর ফলানো এমন কিছু কঠিন নয়। গাছে ইতিমধ্যেই ফলও ধরেছে। গোপালবাবু জানান, পুরুষ ও স্ত্রী দুই ধরনের গাছ রয়েছে। ভালো মানের খেজুর পেতে হলে স্ত্রী গাছের ফুলের ছড়া বের হওয়ার পর পুরুষ গাছের পরাগরেণু দিয়ে সময়মতো নিষেক ঘটানো আবশাক। সেই কৌশল গোপালবাবু শিখে নিয়েছেন।
advertisement
বাজারে আজওয়া প্রজাতির খেজুর কিলো প্রতি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয় এবং মেগজুল প্রজাতির খেজুর ৪০০ থেকে ৫০০ প্রতি কেজি বর্তমান বাজারমূল্য। বাঙালির পুজো পার্বণ, ভোজের অনুষ্ঠান থেকে রমজান মাসে খেজুরের প্রচুর চাহিদা থাকে। তাই অজয় পাড়ে আরবের খেজুর ফলিয়ে আয়ের আশা করছেন গোপালবাবু। গোপাল বাবু আরও জানিয়েছেন এই খেজুর চাষ সংক্রান্ত কোনও সাহায্য কারও দরকার হলে আমি তাকে সাহায্য করবো। একসময় অধিক দামের কারণে যে গোপাল বাবু এই খেজুরের চারা কিনতে পারেনি সেই গোপাল বাবু এখন জানাচ্ছেন কারও এই প্রজাতির খেজুরের চারা দরকার হলে সেই চারা আমিই তাকে বিক্রি করবো । যোগাযোগ – 918001802805 গোপাল চন্দ্র মন্ডল।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
East Burdwan News: সৌদি আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে কাটোয়ায়, রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement